এখনও চামড়া বিক্রি করতে পারেননি রাজবাড়ীর ব্যবসায়ীরা
এবছর গরু-ছাগলের চামড়া কিনে বিক্রি করতে না পেরে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন রাজবাড়ীর চামড়া ব্যবসায়ীরা। ঈদের ১৮ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত বড় কোনো ব্যবসায়ী রাজবাড়ীর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। আর কিছুদিন চামড়া রাখলে নষ্ট হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা এলাকার ব্যবসায়ীদের।
আবার মৌসুমী ফড়িয়া ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কোনো কোনো ব্যবসায়ী বাকিতে চামড়া কিনতে রাজি হলেও চামড়ার দাম বলছেন অর্ধেক।
জানা গেছে, কোরবানির ঈদে জবাইকৃত পশুর চামড়া রাজবাড়ী বাজারের ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রির জন্য মৌসুমী বা ফড়িয়া ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিনে লবণ দিয়ে মজদু করেছেন। কিন্তু সেই চামড়া আজ পর্যন্ত বিক্রি করতে পারেননি।
ব্যবসায়ীরা প্রায় ৩ থেকে ৭ লাখ টাকার চামড়া কিনেছেন। এ সময় তারা ৩ থেকে ৮শ টাকায় গরু ও ৩০ থেকে ৮০ টাকায় ছাগলের চামড়া কিনেছেন। পরবর্তীতে ওই চামড়ায় লবণ দেয়ার পর ব্যবসায়ীদের প্রতিটি চামড়ায় খরচ পড়েছে প্রায় ৯শ থেকে ১ হাজার টাকা।
মৌসুমী ব্যবসায়ী আনসার উদ্দিন বলেন, তিনি প্রতি বছর ঈদে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চামড়া কেনেন। এবছরও ১৮টি চামড়া কিনেছেন। ঈদের পর সেগুলো বিক্রি করতে গেলে কোনো ব্যবসায়ী কিনতে চাননি। দু’একজন যাও দাম বলেছেন, তা চামড়া কেনার তিন ভাগের এক ভাগ। লোকসান হবে ভেবে তখন বিক্রি না করে বাড়িতে লবণজাত করে রেখেছিলেন। ঈদের এতদিন পর বিক্রি করতে এনেছেন। কিন্তু এসে দেখছেন মূল ব্যবসায়ীরাই তাদের চামড়া বিক্রি করতে পারছেন না।
ব্যবসায়ী আক্কাস হোসেন বলেন, বাপ-দাদার ব্যবসা তাদের। চামড়া কিনে এর আগে এমন বিপদে কখনও পড়েননি। ১৭-১৮ দিন হলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবসায়ী তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। কী হবে তা একমাত্র আল্লাহ জানেন। এ বছর তিনি প্রায় ৪ লাখ টাকার চামড়া কিনেছেন।
রুবেলুর রহমান/এফএ/এমএস
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - দেশজুড়ে
- ১ রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের নামকরণ করা হচ্ছে আরডিএ কমপ্লেক্স
- ২ বরগুনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সোহেল সম্পাদক জাফর
- ৩ প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী
- ৪ টিনের কৌটা ভেবে পড়ে থাকা ‘বােমা’য় লাথি, সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ
- ৫ নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে বিদ্যুতায়িত, দুই শ্রমিকের মৃত্যু