ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

চিকিৎসা না পেয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতাল ভাঙচুর

জেলা প্রতিনিধি | পটুয়াখালী | প্রকাশিত: ১২:৩২ এএম, ২৭ আগস্ট ২০১৯

পটুয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে অভি (১৮) নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার রাত ৮টায় এমন ঘটনা ঘটে। পরে হাসপাতাল ভাংচুর চালিয়েছে নিহতের স্বজন ও সহপাঠীরা।

বর্তমানে হাসপাতাল কম্পাউন্ডে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শহরের কাঠপট্রি এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন খানের ছেলে অভি। নিহত অভি পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, অসুস্থ অবস্থায় রাত ৭টা ৪৫ মিনিটে অভিকে (১৮) হাসপাতালে নিয়ে আসে স্বজনরা। মা মমতাজ বেগম অভিযোগ করেন, আমার ছেলে সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেছে।

কর্তব্যরত চিকিৎসক আনোয়ার উল্লাহ বলেন, ‘রোগীর অবস্থা আশংঙ্কাজনক। সম্ভব হলে দ্রুত বরিশাল নিয়ে যান।’ তারপর আমরা বলি এখানে যতটুকু সম্ভব চিকিৎসা দিই। তিনি চিকিৎসা দিয়ে ওয়ার্ডে পাঠায়। ওয়ার্ডে কর্তব্যরত নার্স চিকিৎসাপত্র দেখে ওষুধ আনতে বলে। ওষুধ নিয়ে আসলে মৃত্যু ঘোষণা করা হয়।

southeast

জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার আগে ডা. আনোয়ার উল্লাহ রোগীকে দেখেন। রেজিস্ট্রার খাতায়, ‘অজানা’ পয়জনিং লেখা ছিল। স্বজনরা বলতে পারেনি রোগী কি বিষ পান করছে। তারা সঠিক বিষের নাম না বলায় ওই চিকিৎসক ‘অজানা’ পয়জনিং লেখেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘রোগীকে আশংঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে আসলে ডা. আনোয়ার উল্লাহ দ্রুত চিকিৎসা সেবা দিয়ে ওয়ার্ডে প্ররণ করেন। আমি যখন আসি তখন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সেবিকা জানায় ওয়ার্ডে একজন রোগী মারা গেছে। আমি রোগীকে দেখে মৃত্যু নিশ্চিত করি।’

এ বিষয়ে পটুয়াখালী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহ্ফুজ রহমান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অভির মৃত্যুতে কোনো ধরনের অবহেলা ছিল কিনা, তদন্ত সাপেক্ষ বিষয়। তদন্ত করে অবশ্যই মৃত্যুর সঠিক কারণ বের করা হবে। কারও অবহেলা থাকলে তদন্তপূর্বক কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

পটুয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. জিয়াউল করিম জানান, প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকদের সাথে কথা বলেছি। চিকিৎসা সেবায় কোনো ধরনের ত্রুটি ছিল না। রোগীর অবস্থা আশংঙ্কাজনক থাকায়, ওয়াশ দেয়ার কোনো অবস্থা ছিল না। এরপরও সহযোগী অধ্যাপক ডা. মাজহারুল ইসলাম রোগীকে দেখে গেছে।

মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এমআরএম

আরও পড়ুন