ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বরিশালে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৯

নিজস্ব প্রতিবেদক | বরিশাল | প্রকাশিত: ০৩:২৬ এএম, ২৬ আগস্ট ২০১৯

অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে কেন্দ্র করে বরিশালের সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় ২ পথচারীসহ ছাত্রলীগের ৯ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সরকারি গৌরনদী কলেজ ক্যাম্পাস ও গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহতরা হলেন, গৌরনদী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক আরিফ মিয়ার গ্রুপরে সাব্বির হোসেন, রাজু, সজল, জারিফ এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য সাগর গ্রুপের সরকারি গৌরনদী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মানিক বেপারী, ইমন এবং দুই পথচারী। আহতদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত মানিক বেপারীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কলেজে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কয়েক মাস ধরে গৌরনদী উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য সাগরের সঙ্গে আরিফ মিয়ার মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জের ধরে গত ১৫ আগস্ট আরিফ গ্রুপের সদস্যরা সাগর গ্রুপের সজল ও মিরাজকে মারধর করে। এর পর থেকেই সাগর গ্রুপের সদস্যরা সুযোগ খুঁজছিল। রোববার দুপুর ১২টার দিকে আরিফ গ্রুপের সদস্যরা কলেজ ক্যাম্পাসে সাগর গ্রুপের সদস্য ইমনকে মারধর করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয় গ্রুপের সমর্থকরা লাঠিসোটা ও দেশীয় ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে জড়ো হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ বাধে। এতে ২ পথচারীসহ ছাত্রলীগের ৯ নেতাকর্মী আহত হয়।

সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক আরিফ মিয়া জানান, সাগরের অনুসারীরা অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী ইমন ও জারিফকে মারধর করে। খবর পেয়ে কলেজে এসে দেখি সাগর ও তার অনুসারীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সজ্জিত হয়ে রয়েছে। তারাই প্রথমে কলেজের মধ্যে ও গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হামলা চালায়।

তবে ছাত্রলীগ নেতা সাগর সরদার আরিফের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আরিফের ছোট ভাই জিহাদ আমার অনুসারীদের ওপর কর্তৃত্ব চালানোর চেষ্টা করে। দুপুরে এর প্রতিবাদ করলে এ নিয়ে আরিফের লোকজন চড়াও হয়। এ সময় আমার লোকজনও তাদের প্রতিহত করে।

গৌরনদী থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মো. তৌহিদুজ্জামান বলেন, অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সাইফ আমীন/এমএসএইচ

আরও পড়ুন