ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, ফার্স্ট গার্লকে তুলে নিয়ে গেল যুবক

নিজস্ব প্রতিবেদক | বরিশাল | প্রকাশিত: ০৪:২২ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০১৯

বরিশালের মুলাদী উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের চিঠিরচর গ্রামে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় আয়েশা আক্তার নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। হাসান ঘরামী নামে স্থানীয় এক যুবক ওই ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায়।

শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রাইভেট শেষে সহপাঠীদের সঙ্গে বাড়ি ফেরার সময় হাসান ঘরামী ওরফে হাসু দুটি মোটরসাইকেলে তার সহযোগীদের নিয়ে আয়েশাকে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় আয়েশার বান্ধবীরা বাধা দিলে তাদের মারধর করা হয়।

আয়েশা বাটামারা ইউনিয়নের চিঠিরচর গ্রামের জামাল হাওলাদারের মেয়ে এবং চিঠিরচর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। তার রোল নম্বর ১। অভিযুক্ত হাসান ঘরামী একই এলাকার শাহানাজ ঘরামীর ছেলে।

আয়েশার বাবা জামাল হাওলাদার বলেন, বখাটে হাসান ঘরামী ওরফে হাসু কয়েক মাস ধরে আয়েশাকে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। আয়েশা প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে বিয়ের প্রস্তাব দেয় হাসান ঘরামী। কিন্তু মেয়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় বিয়েতে রাজি হইনি আমরা। এর জেরে শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রাইভেট শেষে সহপাঠীদের সঙ্গে বাড়ি ফেরার সময় হাসান ওরফে হাসু দুটি মোটরসাইকেলে তার সহযোগীদের নিয়ে আয়েশাকে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় আয়েশার বান্ধবীরা বাধা দিলে তাদের মারধর করা হয়। পরে তার বান্ধবীরা আমাকে বিষয়টি জানায়। খবর পেয়ে স্থানীয় চৌকিদার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে হাসানের অভিভাবকদের জানিয়ে মেয়েকে ফেরত দেয়ার অনুরোধ জানাই। কিন্তু শনিবার বিকেল পর্যন্ত আমার মেয়েকে ফেরত দেয়নি তারা।

জামাল হাওলাদার আরও বলেন, এ ঘটনায় শনিবার সকালে বাটামারা সেলিমপুর পুলিশ ক্যাম্পে অভিযোগ করলেও ক্যাম্প ইনচার্জ আক্তার হোসেন ঘটনাস্থলে যাননি। এমনকি আমার মেয়েকে উদ্ধারে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেননি।

সেলিমপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আক্তার হোসেন বলেন, ওই ছাত্রীর বাবাকে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানায় মামলা করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

মুলাদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল আহসান বলেন, এ ঘটনায় থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়নি। শুনেছি ওই ছাত্রীর অভিভাবকরা লিখিত অভিযোগ দেবেন। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সাইফ আমীন/এএম/এমকেএইচ

আরও পড়ুন