মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতেই হবে : মার্কিন রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেছেন, রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও স্থায়ী প্রত্যাবর্তন চায় যুক্তরাষ্ট্র। এজন্য মিয়ানমারের ওপর ক্রমাগত চাপ অব্যাহত রয়েছে। আমাদের এই চাপ অব্যাহত থাকবে। ইতোমধ্যে মিয়ানমারের সেনাপ্রধানসহ তাদের নিরাপত্তা বাহিনীর অনেকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি আমরা। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য যা যা করা দরকার সবই করব আমরা।
শনিবার সকালে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার অষ্টমীর চর ইউনিয়নের চরাঞ্চল নটারকান্দি গ্রামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, লাখ লাখ রোহিঙ্গার জন্য তার হৃদয় ও সীমান্ত খুলে দিয়েছে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ উদারতার সঙ্গে রোহিঙ্গাদের যেভাবে আশ্রয় দিয়েছে সেটি প্রশংসার দাবিদার। রোহিঙ্গাদের সাহায্যের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশের পাশে আছে, সবসময় থাকবে। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত নিতেই হবে।
তিনি আরও বলেন, বন্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের চলমান প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করতে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের জন্য এক লাখ ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র। এতে ১ হাজার ২০০ পরিবারের ৪ হাজার ৯০০ মানুষ সহায়তা পাবে।
এর আগে নটারকান্দি গ্রামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চরবাসীদের অবস্থা পরিদর্শন শেষে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নগদ টাকা, গৃহস্থালি সামগ্রী এবং মহিলা ও কিশোরীদের স্বাস্থ্য সামগ্রী বিতরণ করেন তিনি। বন্যা পরিস্থিতি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কীভাবে বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ প্রচেষ্টার পরিপূরক হিসেবে কাজ করতে পারে সে বিষয়ে জানতে সরকারি কর্মকর্তা এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন আর্ল রবার্ট মিলার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউএসএইড- এর বাংলাদেশ মিশনের ডিরেক্টর ডেরিক ব্রাউন, কেয়ার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর জিয়া চৌধুরী, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, চিলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো. শামসুজ্জোহা প্রমুখ।
নাজমুল/এএম/এমএস