আসমাকে ধর্ষণের পর হত্যা : প্রধান আসামি বাঁধন আটক
ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে পঞ্চগড়ের মাদরাসাছাত্রী আসমা আক্তারকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার প্রধান আসামি মারুফ হাসান বাঁধনকে আটকের দাবি করেছে পঞ্চগড় থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে আটকের পর শুক্রবার দুপুরে রেল পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পঞ্চগড় থানা পুলিশ।
তবে বাঁধনকে কোথা থেকে আটক করা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হয়নি পুলিশ। পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের ওসি আবু আক্কাস আহমদ বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্ত মারুফ হাসান বাঁধনকে আটক করা হয়েছে। তাকে সংশ্লিষ্ট এলাকার রেল পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে আসমা হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ‘বাঁচাও পঞ্চগড়’ নামে একটি সামাজিক সংগঠন। শুক্রবার সকালে জেলা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কে তারা এ মানববন্ধন করেন।
ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্বাস আলী, বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক এমরান আল আমিন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মির্জা নাজমুল ইসলাম কাজল, পঞ্চগড় নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেন সরকার, জেলা পরিষদ সদস্য ও নারী নেত্রী আকতারুন নাহার সাকী, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু সালেক, ‘বাঁচাও পঞ্চগড়’র ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি সফিকুল আলম, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী একেএম আনোয়ারুল ইসলাম খায়ের, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম শহীদ, মামলার বাদী আসমার চাচা মো. রাজু ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান সাবু, নিহত আসমা আক্তারের বাবা আব্দুর রাজ্জাক ও মা শেফালী বেগম বক্তব্য রাখেন। বক্তারা আসমা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেফতার করে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
মানববন্ধনে নিহত আসমার পরিবারের সদস্য, আত্মীয় স্বজন, সহপাঠী, প্রতিবেশী, বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীসহ হাজারের বেশি মানুষ অংশ নেন।
উল্লেখ্য, গত রোববার বাড়ি থেকে একটি কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যান আসমা। সোমবার সকালে কমলাপুর রেল স্টেশনে ময়মনসিংহ-ঢাকার বলাকা কমিউটার ট্রেনের একটি পরিত্যাক্ত বগি থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো মরদেহ উদ্ধার করে রেল পুলিশ। পরে সুরতহাল ও ময়নাতদন্তে তাকে ধর্ষণ এবং শ্বাসরোধ করে হত্যার আলামত পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহতের চাচা মো. রাজু বাদী হয়ে আসমার কথিত প্রেমিক বাঁধনকে প্রধান আসামি করে রেলওয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
সফিকুল আলম/এফএ/এমএস