ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মোবাইলে কথা বলায় ধরা পড়লো ৬ ডাকাত

নিজস্ব প্রতিবেদক | বরিশাল | প্রকাশিত: ০৮:৪১ পিএম, ২২ আগস্ট ২০১৯

বরিশালে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ছয় ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার কেনার অভিযোগে দুই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান।

গ্রেফতাররা হলেন- বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দাড়িয়ালের মৃত বেলায়েত হোসেনের ছেলে ছালাম হাওলাদার (৩৫), একই উপজেলার চরামদ্দি ইউনিয়নের কাটাদিয়া এলাকার জাহাঙ্গীর হাওলাদারের ছেলে মো. মনির হাওলাদার (৩০), বানারীপাড়া উপজেলার মসজিদ বাড়ি এলাকার মো. মান্নান শেখের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম বাবুল শেখ (৪০), উজিরপুর উপজেলার উত্তর লস্করপুর এলাকার মৃত কাশেম বেপারীর ছেলে মো. মাছুম বেপারী (৩৫), ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সূর্যপাশা এলাকার মৃত আলমগীর হাওলাদারের ছেলে মো. খলিল হাওলাদার (৩৫) ও মাসুম বেপারী (৩৫)।

এছাড়াও গ্রেফতারদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার কেনার অভিযোগে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার ফরাজি মার্কেটের ব্যবসায়ী আশীষ কর্মকার (৩০) এবং একই উপজেলা সদরের কর্মকার পট্টির হৃদয় জুয়েলার্সের অশোক কর্মকারকে (৩৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান জানান, গত ১০ জুলাই (শনিবার) রাত ৩টার দিকে বরিশাল মেট্রোপলিটনের বন্দর থানাধীন টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়নের ধোপাকাঠি এলাকার সৈয়দ মোস্তফা কামালের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তরা ওই বাড়ির সকলকে জিম্মি করে কয়েক লাখ টাকার মালামাল লুট করে নেয়। এ ঘটনায় মামলা করা হয়। মামলা দায়েরের পর রহস্য উদঘাটনের দায়িত্ব দেয়া হয় নগরীর সহকারী পুলিশ কমিশনার (বন্দর জোন) শাহেদ আহমেদ চৌধুরীকে। তিনি তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ওই ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেফতার করেন।

সহকারী পুলিশ কমিশনার (বন্দর জোন) শাহেদ আহমেদ চৌধুরী জানান, সৈয়দ মোস্তফা কামালের বাড়িতে রাত ৩টার দিকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। মোস্তফা কামালের পরিবারের সদস্যরা জানান, ডাকাতিকালে মোবাইল ফোনে এক ডাকাত কথা বলেছিল। এ ছাড়া রহস্য উদঘাটনে কোনো ক্লুই পাওয়া যাচ্ছিল না। এর প্রেক্ষিতে ওই রাতে সৈয়দ মোস্তফা কামালের বাড়ির আশেপাশের মোবাইল ফোনের টাওয়ারের ফ্রিকুয়েন্সি ব্যবহার করে আসা-যাওয়া কলের তালিকা অপারেটরদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়। এরপর তালিকা যাচাই-বাছাই করে এক ডাকাত সদস্যকে আটকের পর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অন্যদের আটক করা হয়।

তিনি আরও জানান, গ্রেফতার ছয় ডকাতের বিরুদ্ধে আগে থেকেই বিভিন্ন থানায় অস্ত্র আইন, বিস্ফোরক ও ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ৩২ ইঞ্চি একটি এলইডি টেলিভিশন, এক ভরি স্বর্ণালংকার, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, ধারালো দা, সেলাই রেঞ্জ, স্ক্রু ড্রাইভার, শাবল এবং একাধিক মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার কেনার অভিযোগে দুই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

সাইফ আমীন/আরএআর/এমকেএইচ

আরও পড়ুন