আসামি গ্রেফতার : পুলিশের অস্বীকার
মাগুরায় মায়ের পেটে শিশু গুলিবিদ্ধের ঘটনায় ২ নম্বর আসামি আলী হোসেনকে বুধবার সাড়ে ১০টার দিকে মাগুরা জজ কোর্ট এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে জানান তার আইনজীবী শফিকুল ইসলাম মহন। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির ওসি ইমাউল হক গ্রেফতারের কোনো তথ্য জানা নেই বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
শফিকুল ইসলাম মহন জাগো নিউজকে বলেন, আলী হোসেনের জামিন আবেদন কোর্ট পুলিশের কাছে সকাল ১০টার দিকে জমা দেয়া হয়। পরে আইনজীবীর চেম্বার থেকে অ্যাডভোকেট মহন ও অ্যাডভোকেট শাহীনের সঙ্গে আসামি আলী হোসেন কোর্ট প্রাঙ্গণে ঢুকতে গেলে ডিবি পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়।
আলী হোসেনের ভাই ফারুক জাগো নিউজকে বলেন, কোর্টে আত্মসমর্পণ করতে যাওয়ার পথে প্রকাশ্য দিবালোকে ডিবি পুলিশ আলী হোসেনকে ধরে নিয়ে গেছে। ঘটনাটি শহরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ মার্চ বিকেলে মাগুরা শহরের দোয়ারপাড়া এলাকায় ক্ষমতাশীন দলের সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বের সূত্র ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় গর্ভের শিশুসহ মা নাজমা বেগম পেটে গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় গুলিতে আওয়ামী লীগ কর্মী মোমিন ভূইঁয়া নিহত হন। মোমিন ভূইঁয়ার ছেলে জুয়েল এ ঘটনায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় আলী হোসেনের বিরুদ্ধে নাজমা বেগমের তল পেটে গুলিবিদ্ধ করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এজাহার নামীয় ১৬ আসামির মধ্যে ১১ জনকে পুলিশ ইতোপূর্বে গ্রেফতার করেছে। অন্যতম আসামি আজিবর পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
এদিকে, পেটে গুলিবিদ্ধ নাজমা ও গর্ভের শিশুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার পর সুস্থ করে তোলা হয়। এ ঘটনা তখন সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
আরাফাত হোসেন/এসএস/এমএস