কেমন আছে গ্রেনেড হামলায় নিহত আতিকের পরিবার
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত হন চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার পাচআনী গ্রামের আতিকুর রহমান। ৪ সন্তান নিয়ে সংসার চালাচ্ছেন আতিকের বিধবা স্ত্রী লাইলী বেগম (৫২)। বড় মেয়ে তানিয়া আক্তারকে (২৩) এইচএসসি পাসের পর দু’বছর আগে বিয়ে দিয়েছেন। বড় ছেলে মিথুন (২০) সরকারি তোলারাম কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার্থী। পড়ালেখার পাশাপাশি চাকরি করে। মেজো ছেলে মিন্টু(১৮) এসএসসি পাস করতে পারেনি, বর্তমানে গাড়ি চালায়। আর ছোট ছেলে শাকিব (১৫) স্থানীয় পাচআনী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী।
লাইলী বেগম জানান, মঙ্গলবার বিকেলে মতলব উত্তর থানার ওসি মিজানুর রহমান তাদের পরিবারের খোঁজ খবর নিতে এসেছিলেন।
আতিকুর রহমানের বড় ছেলে মিঠুন বলেন, আমাদের একটি চাকরির প্রয়োজন। আমি এবং আমার বোন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে ওয়াসার কনস্টেবল পদে দরখাস্ত করেছি। প্রধানমন্ত্রী যদি আমাদের ভাই-বোনের চাকরির ব্যবস্থা করতেন তাহলে আমরা স্বচ্ছলভাবে জীবন যাপন করতে পারতাম।
মিথুন আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে ১ লাখ, তারপর সঞ্চয়পত্র ১০ লাখ, এফডিআরের জন্য ২০ লাখ এবং নগদ ৫ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। সেজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ।
মোহনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন জয় জানান, একুশে আগস্ট বিকেলে ইউনিয়ন যুবলীগের উদ্যোগে মরহুম আতিকুর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনায় মিলাদ ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছি।
উল্লেখ্য, আতিকুর রহমান ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে ঢালাই শ্রমিকের কাজ করতেন। শ্রমিক লীগের সদস্য হিসেবে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে একুশে আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি যোগদান করেছিলেন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সেদিন তাকে জীবন দিতে হয়েছিল ঘাতকদের গ্রেনেড হামলায়।
ইকরাম চৌধুরী/এফএ/জেআইএম