অটোরিকশা চালক নাইম হত্যায় ঘাতক দুই বন্ধুর স্বীকারোক্তি
সিলেটে নগরের বালুচর এলাকায় অটোরিকশা চালক নাইম আহমদ (১৫) হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ঘাতক দুই বন্ধু রোকন ও পারভেজ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে তাদের দুজনকে সিলেট মহানগর ম্যাজিস্ট্রেটের (প্রথম) আদালতে হাজির করা হলে তারা দুজন ফৌজধারী দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। গ্রেফতাররাও রিকশাচালক বলে জানিয়েছে পুলিশ। এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন স্বীকারোক্তি দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জবানবন্দিতে ঘাতক দুই বন্ধু বলে, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছিনতাই করতে নাইম আহমেদকে লালটিলা এলাকায় নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর বস্তায় ঢুকিয়ে সেখানে মরদেহ ফেলে রেখে রিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়।
এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সাড়ে ৬ টায় নগরের বালুচর এলাকার লালটিলা থেকে নাইমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে বিয়ানীবাজারের আলবান্না এলাকার আব্বাস উদ্দিনের ছেলে। পরিবারের সাথে নগরীর বালুচর এলাকার সোনাই মিয়ার কলোনিতে বসবাস করতো।
এদিকে এই ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে নাইমের দুই বন্ধু রোকন ও পারভেজকে আটক করে পুলিশ। রোকন শাহি ঈদগাহ এলাকার হাজারীবাগের আব্দুর মুমিনের ছেলে ও পারভেজ একই এলাকার আব্দুর করিম পিয়ারের ছেলে।
গত বৃহস্পতিবার ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে বের হওয়ার পর নাইম আর বাসায় না ফিরলে রাতে তার বাবা আব্বাস উদ্দিন এয়ারপোর্ট থানায় নিখোঁজের ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে নাইমের দুই বন্ধু রোকন ও পারভেজকে আটক করে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নাইমকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার কথা স্বীকার করে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এয়ারপোর্ট থানার আম্বরখানা ফাঁড়ি পুলিশ শুক্রবার সন্ধ্যায় বালুচর এলাকার লালটিলা থেকে নাইমের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে।
ছামির মাহমুদ/এমএসএইচ