রোদ-বৃষ্টি সব কিছুতেই ভোগায় রাস্তা দুটি
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বালিয়াকান্দি টু নারুয়া ১২.৩৫ কিলোমিটার ও বালিয়াকান্দি টু মেঘচামী সড়কের ৪.৫৩ কিলোমিটার অংশে বড় বড় খানাখন্দ আর ভাঙাচোরার কারণে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ রাস্তায় প্রতিদিনই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। আবার যানবাহনের চাকা গর্তে পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকছে রাস্তাতেই। এছাড়া সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায় রাস্তা দুটিতে। এতে বিপাকে পড়েন যানবাহনের চালক, যাত্রী ও পথচারীরা।
রাস্তা দুটি উপজেলার প্রধান রাস্তা। জরুরি প্রয়োজন বা দৈনন্দিন কাজে এ রাস্তা দুটির বিকল্প নেই। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে রাস্তা দুটির কাজ হওয়ার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়নের অপেক্ষায় ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে, বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ, বাস স্ট্যান্ড, থানা, প্রাণিসম্পদ অফিস, পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস, বিদ্যুৎ অফিস, স্কুল, ইউনিয়ন পরিষদ, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বাজারের মতো গুরুত্বপূর্ণ সব স্থাপনা রয়েছে বালিয়াকান্দি টু নারুয়া ও বালিয়াকান্দি টু মেঘচামী রাস্তার পাশে। ফলে এ দুটি রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করে ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের যানবাহন।
নারুয়া ও মেঘচামী রাস্তা দুটির একটু পর পর কার্পেটিং উঠে পুরো রাস্তায় বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির সময় কাদা পানি আর শুকনোর সময় ধুলায় ভোগান্তিতে পড়েন পথচারী ও যাত্রীরা। চালকরা সবধানতা অবলম্বন করলেও ঘটছে দুর্ঘটনা। এছাড়া রাস্তার পাশে বসবাসকারী ও ব্যবসায়ীরাও পড়েছেন বিপাকে।
জানা গেছে, এ রাস্তা দুটি বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে প্রশস্তকরণ করা হবে। তাই সময় লাগছে। বর্তমানে কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বালিয়াকান্দি উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী সজল কুমার দত্ত বলেন, বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ও মেঘচামী রাস্তা দুটি অন্য জেলার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছে। এ দুটি রাস্তা সংস্কারের জন্য বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে আরসিআইপি প্রজেক্টের মাধ্যমে ২০১৬ সালে প্রস্তাবনা দেয়। এর অংশ হিসেবে রাস্তা দুটির নম্বর পড়ে গেছে। যেকোনো সময়ে টেন্ডার হবে।
বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, তার উপজেলার নারুয়া ও মেঘচামী রাস্তা দুটির বেহাল দশা। একেবারে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ রাস্তা দুটি এডিপি প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। একটি বিদেশি সংস্থা রাস্তা দুটির নির্মাণ ও প্রশস্তকরণের কাজ করবে। দুই বছর ধরে রাস্তা দুটির বিভিন্ন বিষয়ে যাচাই বাছাই করা হয়েছে।
রুবেলুর রহমান/এফএ/এমএস