হাসপাতালে পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়ে গেল আসামি
গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়ে গেছে এক আসামি। বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত পালিয়ে যাওয়া ওই আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এ ঘটনায় গোসাইরহাট থানা পুলিশের কনস্টেবল মো. হেলাল উদ্দিনকে ক্লোজ করা হয়েছে। পলাতক আসামি সুমন পাইক গোসাইরহাট উপজেলার ধীপুর গ্রামের আজাহার পাইকের ছেলে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে আহত অবস্থায় আসামি সুমনকে হাসপাতালের ৩০৭ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। বুধবার সকালে কোনো একসময় পুলিশি হেফাজত থেকে সুমন পালিয়ে যান।
গোসাইরহাট থানা পুলিশের এসআই মো. সাচ্চু মিয়া (মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা) বলেন, মঙ্গলবার সকালে গোসাইরহাট উপজেলার ধীপুর এলাকায় পুকুরের ঘাট বাঁধা নিয়ে আজাহার পাইকের সঙ্গে মিলন তপাদারের বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে মিলন তপাদারের পক্ষের ৭ জন আহত হয়। তাদের মধ্যে দুজনকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিদের গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনা শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে আজাহার পাইকের পক্ষের সুমন পাইক আহত হয়ে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। সুমনকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়। সংঘর্ষর ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে মিলন তপাদার বাদী হয়ে সুমন পাইকসহ ৭ জনকে আসামি করে গোসাইরহাট থানায় মামলা দায়ের করেন।
গোসাইরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম রেজা বলেন, হাসপাতালের ওয়ার্ডে পুলিশি হেফাজতে থাকা আসামি সুমন পাইক বুধবার সকালে বাথরুমে হাতমুখ ধুতে যাবে বলে। তখন দায়িত্বে থাকা কনস্টেবল হেলাল সরল মনে সুমনের হাতকড়া খুলে দেয়। কিন্তু সুমন হাতমুখ ধুতে গিয়ে পালিয়ে যায়। তাই দায়িত্বে অবহেলার কারণে কনস্টেবল মো. হেলাল উদ্দিনকে ক্লোজড করে শরীয়তপুর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
ছগির হোসেন/এফএ/এমকেএইচ