সব স্বপ্ন মুছে দিল ডেঙ্গু
পাবনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মাহফুজুর রহমান (২০) নামে এক যুবক মারা গেছেন। মঙ্গলবার রাত ১২টায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
মৃত মাহফুজ পাবনা সদর উপজেলার চররামানন্দপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে। তিনি এবার এইচএসসি পাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। মাহফুজ ঢাকা থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে পাবনায় যান বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আকসাদ আল মাসুর আনন জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় মাহফুজকে গুরুতর অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ১২টার দিকে তিনি মারা যান।
তিনি অরও জানান, তার প্লাটিলেট কমে যাওয়াসহ ব্রেনে ইফেক্ট করেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাতেই তার স্বজনরা মরদেহ নিয়ে গেছে।
এদিকে গত ৪ দিনে পাবনা জেনারেল হাসপাতালসহ জেলার অন্য ৩টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন করে ৭১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। সরকারি হিসাবে জেলায় এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৪৫ জন। কিন্তু বেসরকারি হিসাবে এ সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩শ।
পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবাল জানান, ঈদের ৩ দিনের ছুটিতে পাবনায় নতুন করে ৫৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। বুধবার আরও ১৭ রোগী ভর্তি হন। এর মধ্যে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ৬১ জন, বেড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫, ফরিদপুরে ৫ এবং চাটমোহরে ১ জন।
পাবনা মেডিকেল কলেজের আরএমও ডা. আকসাদ আল মাসুর আনন বলেন, তারা সীমিত ব্যবস্থার মধ্যে রোগীদের সর্বাত্মক সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
পাবনা মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. শাফিকুল হাসান জানান, ডেঙ্গু আক্রান্তদের বিশেষভাবে নজর দিয়ে সর্বাত্মক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। নতুন করে যাতে কেউ আক্রান্ত না হয় সেজন্য জনগণকে এডিস মশা ধ্বংস এবং এর থেকে সতর্ক থাকতে হবে। ঢাকা থেকে বাসসহ বিভিন্ন যানবাহনে এডিস মশা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন হওয়া জরুরি।
এদিকে মাদারীপুরের শিবচরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাজী আবদুল মজিদ (৭৫) নামে আরও এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি গত এক সপ্তাহ যাবৎ ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মঙ্গলবার রাত একটার দিকে শিবচরের নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি।
একে জামান/এফএ/এমকেএইচ