ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

আজও বাড়ির যাচ্ছে মানুষ, ফেরিঘাটে ভিড়

জেলা প্রতিনিধি | মাদারীপুর | প্রকাশিত: ১১:৩২ এএম, ১৪ আগস্ট ২০১৯

ঈদের তৃতীয় দিনেও বাড়ি ফিরছেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। বুধবার সকাল থেকে মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটে ঘরমুখো মানুষের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।

বৈরী আবহাওয়ার কারণে মঙ্গলবার লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকায় বুধবার সকাল থেকে ঘরমুখো মানুষের ঘরে ফেরার ব্যস্ততা বেড়েছে। এতে করে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাট। তবে বৃষ্টি ও হালকা বাতাস বইতে থাকায় যাত্রীদের বেশি অংশ ফেরিতে পার হচ্ছে বলে ফেরিঘাট সূত্র জানিয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ি ঘাট সূত্র জানায়, বুধবার সকাল থেকে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ঈদের ছুটি শেষে সকাল থেকে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। তবে এখনো ঘরমুখো মানুষের চাপ রয়েছে ঘাট এলাকায়। লঞ্চ ও স্পিডবোটের পাশাপাশি ফেরিতে পরিবহনের চেয়ে যাত্রীদের ভিড় বেশি। সকাল থেকে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

কাঁঠালবাড়ি লঞ্চঘাট সূত্র জানায়, মঙ্গলবার বৈরী আবহাওয়ার কারণে বন্ধ ছিল লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল। তবে বুধবার লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক থাকায় ঘাটে যাত্রীদের ভিড় রয়েছে।

এদিকে, বুধবার সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি থাকায় যাত্রীরা স্পিডবোটের পরিবর্তে লঞ্চ ও ফেরিতে পার হচ্ছে। সেই সঙ্গে রয়েছে দুর্ভোগও।

গোপালগঞ্জগামী যাত্রী মো. সোহেল মিয়া বলেন, ঈদের সময় বাড়ি যেতে পারিনি। তাই এখন যাচ্ছি। কয়েকদিন থাকবো। এরপর আবার ঢাকায় ফিরব।

বরিশালগামী যাত্রী রিয়াজ আকন বলেন, ঈদে বাড়ি ফেরা হয়নি। ঢাকায় কুরবানি করেছি। এখন মাংস নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। মাঝ পদ্মা কিছুটা উত্তাল রয়েছে। এরপরও বাড়ি ফিরতে হবে।

ঢাকাগামী যাত্রী শামীম বলেন, বুধবার থেকে অফিস খোলা। মঙ্গলবার নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। তাই বুধবার ভোরে রওনা দিয়েছি। তবে ঘাটে এসে ঢাকাগামী যাত্রীদের চেয়ে বাড়ি ফেরাদের চাপ বেশি দেখা যাচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিএর কাঁঠালবাড়ি লঞ্চঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, বুধবার সকাল থেকে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ঈদের তৃতীয় দিনেও ঘরমুখো যাত্রীদের ভীড় রয়েছে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে।

কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম মিয়া বলেন, বুধবার সকাল থেকে সবগুলো ফেরি চলছে। ঢাকায় ফেরা এবং ঘরমুখো উভয় যাত্রীদের ভিড় রয়েছে ফেরিতে।

এ কে এম নাসিরুল হক/এএম/জেআইএম

আরও পড়ুন