মাটিতে পুঁতে ফেলা হলো কোরবানি পশুর চামড়া
কোরবানি দেয়ার পর পশুর চামড়া বিক্রির জন্য সারাদিন অপেক্ষা করেছেন, কিন্তু কোনো ক্রেতা মেলেনি। ক্রেতা মিললেও ঠিকঠাক দাম দিতে চায়নি। তাই রাগে-ক্ষোভে চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলেছেন কোরবানিদাতারা।
এমন ঘটনায় ঘটেছে নীলফামারীতে। ক্রেতা না পাওয়ায় সেখানকার কোরবানিদাতারা চামড়া মাটিতে পুতে ফেলেছেন।
জানা গেছে, জেলা শহর ছাড়াও সৈয়দপুর, ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা ও কিশোরগঞ্জ উপজেলাতে এ ঘটনা ঘটেছে। সারাদিনেও এসব এলাকায় কোনো চামড়া কেনার লোক মেলেনি। তাই বাধ্য হয়ে অনেকেই মাটিতে গর্ত করে গরু ও খাসির চামড়া পুঁতে ফেলেন।
নীলফামারির সৈয়দপুরের কামারপুকুর ইউনিয়নের হাসান ৫০ হাজার টাকা দামের গরুর চামড়া সৈয়দপুর আড়তে নিয়ে আসেন। সেখানে ৮০ টাকা দাম বলা হয়। ব্যবসায়ীরা তাকে এও বলে- দিলে দেন, না দিলে বাড়ি নিয়ে যান। বাধ্য হয়ে রাগে-ক্ষোভে চামড়াটি বাড়িতে নিয়ে এসে মাটিতে পুঁতে ফেলেন হাসান।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকার ও ব্যবসায়ীরা মিলে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। এবার ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ৪৫-৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩৫-৪০ টাকা হবে। গত বছর প্রতি বর্গফুটের দাম একই ছিল। ২০১৭ সালে প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ছিল ঢাকায় ৪৫-৫৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪০-৪৫ টাকা।
এছাড়া সারাদেশে খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৮-২০ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৩-১৫ টাকায় সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে ব্যবসায়ীদের। গতবার খাসির চামড়ার দামও ছিল একই। তবে ২০১৭ সালে খাসির চামড়ার দাম ছিল প্রতি বর্গফুট ২০-২২ এবং বকরির চামড়া ১৫-১৭।
সাভারে ট্যানারি স্থানান্তর, রফতানি আদেশ কমে যাওয়া ও অর্থ সংকটের কারণে এ বছর চামড়ার দাম কমানোর সুপারিশ করেছিল কাচা চামড়ার ব্যবসায়ী ও ট্যানারি মালিকরা। এসব বিবেচনায় সরকার দাম না বাড়িয়ে আগের মূল্য নির্ধারণ করেছে।
এমএসএইচ