দিনাজপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত ১
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে লিটন (৪৫) নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এ সময় উভায় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের ভালকা গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত লিটন উপজেলার চককরিম গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে।
আহতরা হলেন নবাবগঞ্জ উপজেলার চককরিম মনোহরপুর গ্রামের জোনাব আলীর ছেলে সাজু (২৫), একই এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে খোরশেদ (২৮) বড়আড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী বিলকিস বেগম (৩৫), বড়আড়া কানাহার গ্রামের আজিজুর রহমানের মেয়ে মনোয়ারা বেগম (৪০), মঞ্জু আরা বেগম (৩৫) একই এলাকার রফিক উদ্দিনের স্ত্রী মঞ্জিলা বেগম (৬৫), ইসলামপুর গ্রামের মৃত অফুর উদ্দিনের ছেলে সাহাব উদ্দিন (৬০), রঘুনাথপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের স্ত্রী মোছা. আজুফা বেগম (৫০), একই এলাকার আফুর উদ্দিনের ছেলে সাহেব আলী (৬৫) ও জব্বার আলী (৫৭)।
আহদের উদ্ধার করে নবাবগঞ্জ ও ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত লিটনের পরিবারের সদস্যরা জানায়, পুলিশের ছোড়া গুলিতে লিটন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হলে প্রথমে তাকে পার্শ্ববর্তী ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রেজাউল করিম তাকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক লিটনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার বলেন, ‘উপজেলার বড়আড়া গ্রামের রফিক উদ্দিনের সঙ্গে নিহত লিটনের জমি নিয়ে দির্ঘদিন থেকে মামলা চলে আসছিল। সম্প্রতি নিম্ন আদালত থেকে ওই জমির ডিক্রি পান রফিক উদ্দিন। আদালতের আদেশ বলে রফিককে জমি বুঝিয়ে দিতে গেলে প্রতিপক্ষ লিটন তার দলবল নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ শুরু হয়। এ সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি করে। তবে পুলিশের গুলিতে লিটন গুলিবিদ্ধ হয়েছে কি-না তা আমার জানা নাই।’
এমদাদুল হক মিলন/এমবিআর/এমএস