শিমুলিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় ৫ শতাধিক যানবাহন
প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ গত শুক্রবার থেকে রাজধানী ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে। আজ দ্বিতীয় দিনেও যাত্রী ও যানবাহনের চাপ রয়েছে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌ রুটে। বর্তমানে এই নৌ রুটে ছোট-বড় ১৭টি ফেরি রয়েছে যানবাহন ও যাত্রী পারাপারের জন্য। পাশাপাশি যাত্রী পারাপারের জন্য রয়েছে ৮৮টি লঞ্চ, সাড়ে ৪শ স্পিডবোট ও ট্রলার।
শনিবার ভোর থেকে শিমুলিয় ঘাট এলাকায় যাত্রীদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। বর্তমানে ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে ছোট বড় পাঁচ শতাধিক যানবাহন।
ঈদ উপলক্ষে যাত্রীদের নিরাপত্তায় শিমুলিয়া ঘাটে প্রায় পাঁচ শতাধিক পুলিশ বাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ২৪ ঘণ্টা নিয়োজিত রয়েছেন।
বিআইডব্লিউটিএ’র সহকারী পরিচালক (মাওয়া) শাহাদাত হোসেন বলেন, গত কয়েকদিন বৈরী আবহাওয়ার কারণে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় শুক্রবার থেকে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। তবে যাত্রী ও যানবাহন নির্বিঘ্নে পারাপারে আমাদের সার্বাধিক ব্যবস্থা সচল রয়েছে। কোনো প্রকার দুর্ভোগ নেই।
মুন্সীগঞ্জের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) মো. রাজিবুল ইসলাম জানান, ঘাটে সকালে যাত্রী চাপ ছিল তবে এখন কমতে শুরু করেছে। ফেরিঘাট, লঞ্চ ঘাট ও সিবোট ঘাটে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য রয়েছেন। বাসে ভাড়া বেশি নেওয়াসহ কোন প্রকার অনিয়মের অভিযোগ আমাদের কাছে এখনো আসেনি। তবে কোন ধরনের অনিয়মের অভিযোগ পেলেই সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভবতোষ চৌধুরী নুপুর/আরএআর/এমকেএইচ