প্রেমিককে নিয়ে স্বামীকে হত্যার পর লাশ নিয়ে স্ত্রীর অঝোরে কান্না
দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় পরকীয়া প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে স্বামীকে হত্যা করেছে স্ত্রী। এ ঘটনায় পুলিশ স্ত্রী তৈয়বা বেগমকে (২১) আটক করেছেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। শুক্রবার সকালে হত্যাকাণ্ডের শিকার ফরহাদুল ইসলামের (২৩) লাশ উদ্ধার পুলিশ।
তিনি বিরল উপজেলার ৮নং ধর্মপুর ইউপির ধর্মপুর টিকড়িপাড়া গ্রামের মোজাহার আলীর ছেলে। তাদের তিন বছর বয়সের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
পুলিশ জানায়, পরকীয়ার কারণে বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। প্রায় সময় সংসারে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। বেশ কিছুদিন ধরে তাদের বাড়িতে অপরিচিত এক পুরুষ যাতায়াত করতো। তবে এলাকার কেউ তাকে চিনতো না।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে স্ত্রী তৈয়বা বেগম ও তার প্রেমিক মিলে পরিকল্পিতভাবে গলায় গামছা পেঁচিয়ে স্বামী ফরহাদুল ইসলামকে হত্যা করে। পরে সকাল বেলা লাশের সামনে বসে অঝোরে কান্নাকাটি করে প্রতিবেশীদের জানায় তার স্বামী মারা গেছে। তবে কীভাবে মারা গেছে তা তিনি জানাতে পারেননি। এ সময় এলাকাবাসী ফরাদুল ইসলামের গলায় দাগ দেখতে পেলে তাদের সন্দেহ হয়। এলাকাবাসী থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ দেখে স্ত্রী তৈয়বা বেগমকে আটক করে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিরল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ এ টি এম গোলাম রসুল বিষয়টি নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে জানান, নিহতের স্ত্রী তৈয়বা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ও তার প্রেমিক মিলে স্বামীকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছেন। প্রেমিককে ধরতে অভিযান চলছে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এমদাদুল হক মিলন/এমএএস/পিআর