ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে থেকে থেমে চলছে যানবাহন
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে কালিহাতীর এলেঙ্গা পর্যন্ত চার লেনের কাজ চলছে। এর আশি ভাগ কাজ শেষ হওয়ায় চার লেনের সুবিধা পাচ্ছে ঈদে ঘরমুখো মানুষ। তবে বৃহস্পতিবার রাত থেকে এ মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ায় থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীরা।
পরিবহন সংশ্লিষ্ট ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভোরে নাটিয়াপাড়া এলাকায় একটি যাত্রীবাহী পরিবহন উল্টে খাদে পড়ে গেলে কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হয়। উত্তরবঙ্গগামী গাড়ীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় রাত থেকে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানজটের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া মহাসড়কের পুংলি, এলেঙ্গা ও রাবনা বাইপাস এলাকায় দুর্ঘটনায় গাড়ি বিকল হয়ে যায়। এ সময় মহাসড়কের প্রায় ২০ কিলোমিটার সড়ক জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। এর দুই ঘণ্টা পর যানবাহন চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হলেও রাস্তায় অতিরিক্ত গাড়ির চাপের কারণে থেকে থেমে চলছে যানবাহন। এর মধ্যে ফিটনেসবিহীন যানবাহন রাস্তায় বিকল হওয়া, ছোট খাটো দুর্ঘটনা ও বঙ্গবন্ধু সেতু টোল প্লাজায় টোল আদায়ে ধীরগতি কারণে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক দিয়ে ঈদে ঘরমুখো মানুষ ও কোরবানির পশুবাহী ট্রাকগুলো যাতে নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে তার সকল ব্যবস্থাই গ্রহণ করেছে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ। মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে আট শতাধিক পুলিশ ও ১৯০ জন আনসারসহ দেড় শতাধিক লোকবল দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়াও মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা যাতে ছিনতাই ও অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে না পড়ে তার জন্য গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা রয়েছে।
মির্জাপুর হাইওয়ে পুলিশের টিআই ইফতেখার নাসির রোকন জানান, বঙ্গবন্ধু সেতুতে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে বেলা ১১টা থেকে প্রায় ১০মিনিট সেতুর টোল আদায় বন্ধ ছিল। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যেই মহাসড়ক স্বাভাবিক হবে। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দিয়ে ৩০ হাজার ৮৫৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয় দুই কোটি ৫২ লাখ ৪০ হাজার ৫৬১ টাকা।
আরিফ উর রহমান টগর/আরএআর/এমএস