ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সুনামগঞ্জে ১৬ হাজার হেক্টর আমনের ক্ষতি

প্রকাশিত: ০৪:২৪ এএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫

দুই দফা বন্যায় সুনামগঞ্জে ১৬ হাজার ২৭২ হেক্টর জমির রোপা আমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন জেলার ৬৫ হাজার ৭৮৫ জন কৃষক।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিতে সুনামগঞ্জে আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে বন্যা হয়। তখন প্রায় আট হাজার হেক্টর জমির আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর চলতি মাসের শুরু দিকে আবার বন্যা দেখা দেয় সুনামগঞ্জে। দুই দফা বন্যায় রোপা আমনের ব্যাপক ক্ষতি হয়।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে জেলার বিশ্বম্ভরপুর ও দোয়ারাবাজার উপজেলা। এর মধ্যে বিশ্বম্ভরপুরে দুই হাজার ৯৫১ হেক্টর, দোয়ারাবাজারে দুই হাজার ৯৩০ হেক্টর, সদর উপজেলায় দুই হাজার ১৭০ হেক্টর, তাহিরপুর উপজেলায় দুই হাজার ৫৫০ হেক্টর, ছাতক উপজেলায় এক হাজার ৫৪ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় এক হাজার ৩০৮ হেক্টর, দিরাই উপজেলায় এক হাজার ৩৫ হেক্টর, জগন্নাথপুর উপজেলায় ৯৭৮ হেক্টর, জামালগঞ্জ উপজেলায় ৯১৬ হেক্টর, ধরমপাশা উপজেলায় ২৫০ হেক্টর, শাল্লা উপজেলায় ১৩০ হেক্টর আমন জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের কৃষক আবদুল খালিক জাগো নিউজকে জানান, তিনি এবার ১২ কেদার জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছিলেন। দুই দফা বন্যায় জমির সব ধান নষ্ট হয়ে গেছে। একই গ্রামের বারিক মিয়া বলেন, কৃষকেরা দুইবার ফসল লাগিয়েছিলেন। কিন্তু দুইবারই ফসল নষ্ট হয়ে যায়। পরে সময়ের অভাবে আর ধান লাগাতে পারেননি তারা।

উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আমিরুল হক জাগো নিউজকে জানান, দুই দফা বন্যা কৃষকেরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। বিশেষ করে রোপা আমনের ক্ষতি হয়েছে বেশি। এই ক্ষতির প্রভাব বোরো মৌসুমেও পড়বে।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ জাগো নিউজকে বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সহায়তা করার জন্য আমরা প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি।

সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. জাহেদুল হক জাগো নিউজকে জানান, আমরা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। একই সঙ্গে কৃষকদের সহায়তার কথাও বলা হয়েছে। সহায়তা পেলে বোরো মৌসুমে তারা কিছু উপকার পাবেন।
    
ছামির মাহমুদ/এসএস/এমএস