যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যা, পুলিশ কনস্টেবলের ফাঁসি
টাঙ্গাইলে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে পুলিশ কনস্টেবল আব্দুল আলীম ও তার বন্ধু শামীমকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুর ১২টায় টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের হাকিম খালেদা ইয়াসমিন এ রায় ঘোষণা করেন। এছাড়াও উভয়কে এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কালিহাতী উপজেলার হিন্নাইপাড়া গ্রামের আবু হানিফের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল আব্দুল আলীম ওরফে সুমন (৩২) এবং তার বন্ধু একই গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে শামীম আল মামুন (২৯)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানবীর আহম্মেদ জানান, দণ্ডিত পুলিশ কনস্টেবল আব্দুল আলীম শিল্প পুলিশে কর্মরত অবস্থায় ২০১১ সালের ৬ মে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ফলিয়ারঘোনা গ্রামের সুলতান আহমেদের মেয়ে সুমি আক্তারকে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু সুমির বাবা তিন লাখ টাকা দিলেও বাকি ছিল দুই লাখ টাকা।
যৌতুকের বাকি টাকার জন্য আব্দুল আলীম প্রায়ই স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন। এক পর্যায়ে স্ত্রী সুমি আক্তারকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেন। ২০১২ সালের ২০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে আলীম তার স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিয়ে যান। পরে তাকে ঢাকার তুরাগ থানার বেড়িবাঁধ এলাকায় নিয়ে বন্ধু শামীম আল মামুনের সহায়তায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন।
আব্দুল আলীম গ্রেফতার হওয়ার পর হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। এ ঘটনায় নিহত সুমির মা বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় দণ্ডিত ওই দুইজনের নামে মামলা করেন।
ঘটনার পর থেকে আব্দুল আলীম পুলিশ কনস্টেবল পদ থেকে বরখাস্ত হয়ে কারাগারে আছেন। সোমবার রায় ঘোষণার পর দু’জনকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
আরিফ উর রহমান টগর/এফএ/পিআর