ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ধর্ষিতাকে আটকে রেখে স্ট্যাম্পে সাক্ষর আদায়ের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০২:৫৪ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

সোনাগাজীতে ধর্ষণের শিকার এক তরুণী ও তার মাকে অপহরণ করে আটকে রেখে মামলা না করতে একটি অলিখিত স্ট্যাম্পে ও দুটি সাদা কাগজে জোরপূর্বক সাক্ষর আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার রাত ৮টার দিকে ফেনী শহরের পুরাতন সোনাগাজী বাসস্ট্যান্ডের আনোয়ার ফার্নিচারের দোকানে এ ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের বগাদানা গ্রামের সাহাব উদ্দিন খোন্দকারের  ছেলে নয়ন ওরফে ছোটন ওই তরুণীকে দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করে আসছিল। বুধবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে নয়নের নেতৃত্বে কয়েকজন দুর্বৃত্ত ওই তরুণীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে ধর্ষণ করে।

পরদিন ১০ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার তরুণীর মা বাদি হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের পর ধর্ষক নয়ন ও তার ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা ধর্ষিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিলে তারা নানার বাড়িতে আত্মগোপনে চলে যায়।

এদিকে, শুক্রবার সকালে সোনাগাজী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাছির উদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের না পেয়ে পরদিন থানায় যেতে বলেন। যথারীতি শনিবার সকালে ধর্ষিতা ও তার মা থানায় যাওয়ার পথে বগাদানা ইউনিয়নের ঈদগাহ নামক স্থান থেকে স্থানীয় যুবলীগ নেতা কখম ইসহাক খোকন ওরফে ভাগিনা খোকন ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে কয়েকজন দুর্বৃত্ত মা-মেয়েকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়।

পরে তাদের ফেনী শহরের একটি বাসায় দিনভর আটকে রেখে মামলা না করতে ভয়ভীতি দেখায়। রাত ৮টার দিকে একটি ফার্নিচারের দোকানে তড়িঘড়ি করে সালিশি বৈঠকের আয়োজন করে তারা। সেখানে ধর্ষিতা ও তার মার কাছ থেকে জোরপূর্বক ৪শ টাকা দামের ৪টি স্ট্যাম্পে ও ২টি সাদা কাগজে সাক্ষর আদায় করে এবং ধর্ষকের ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে। এ সময় ধর্ষিতা ও তার মাকে বাড়িতে না গিয়ে নানার বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেয় তারা।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করা শর্তে ধর্ষিতার এক নিকটাত্মীয় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষিতা ও তার পরিবারের সদস্যরা হুমকির মুখে ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মাঈন উদ্দিন জানান, ঘটনাস্থলে আমি পৌঁছার আগেই স্ট্যাম্পে সাক্ষর ও অন্যান্য কাজ শেষ হয়ে যায়। আগে তিনি এ বিষয়ে কিছু জানতেন না বলেও জানান।

এ ব্যাপারে সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ জাগো নিউজকে জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর থেকে বাদি থানায় আসেননি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

জহিরুল হক মিলু/এসএস/আরআইপি