টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গাসহ নিহত ২, সারাদেশে ৫
দেশের তিন জেলায় পৃথক ‘বন্দুক যুদ্ধে’ মোট পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গাসহ দুই মাদক পাচারকারী নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন চার বিজিবি সদস্য। সোমবার ভোররাতে উপজেলার হ্নীলা মৌলভীবাজার আড়াই নং স্লুইচ গেট পয়েন্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, উপজেলার হোয়াইক্যং নয়াবাজারের জলিল আহমদের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৩০) এবং উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প-২ এর রোহিঙ্গা নাগরিক মৃত হায়দার শরীফের ছেলে নুরুল ইসলাম (২৭)।
ঘটনাস্থল হতে ২টি দেশীয় বন্দুক, ৪ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ২০ হাজার পিস ইয়াবা ও ২টি কিরিচ জব্দ করা হয়। বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর শরিফুল ইসলাম জমাদ্দার এসব তথ্য জানান।
বিজিবি জানায়, ভোররাতে উপজেলার হ্নীলা মৌলভীবাজার আড়াই নং স্লুইচ গেট পয়েন্ট দিয়ে মাদকের চালান অনুপ্রবেশের সংবাদ পেয়ে বিজিবি টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের একটি বিশেষ টহল দল ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর কয়েক ব্যক্তি সশস্ত্র অবস্থায় কয়েকটি পোটলা নিয়ে এগিয়ে আসতে থাকলে বিজিবি তাদের চ্যালেঞ্জ করে। এ সময় অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এবং কিরিচ নিয়ে হামলা করে। এতে বিজিবির ৪ সদস্য আহত হন। বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ২টি দেশীয় বন্দুক, ৪ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ২০ হাজার পিস ইয়াবা ও ২টি কিরিচসহ গুলিবিদ্ধ দুইজনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা সদর হাসপাতালে নেয়।
বিজিবি আরও জানিয়েছে এ ঘটনায় তাদের আহত সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এছাড়া গুলিবিদ্ধ দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
টেকনাফ-২বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর মো. শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার জানান, এ ঘটনায় পৃথক আইনে মামলা করা হচ্ছে।
এদিকে ময়মনসিংহ ও হবিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামিসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। রোববার দিবাগত গভীর রাতে পৃথক এসব ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
সায়ীদ আলমগীর/এমএমজেড/পিআর