স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে অপহরণের পর গুলি, যুবলীগের ৫ নেতা কারাগারে
লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা দিদার হোসেন বাবলুকে অপহরণের পর গুলি করে হত্যার চেষ্টা মামলায় স্থানীয় যুবলীগের পাঁচ নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার দুপুরে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি (চন্দ্রগঞ্জ অঞ্চল) আদালতে আত্মসমর্পণ করে তারা জামিন আবেদন করলে বিচারক জুয়েল দেব তা বাতিল করে আসামিদের করাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাসেল মাহমুদ মান্না বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসামিরা হলেন সদর উপজেলা চরশাহী ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম রিয়াজ, স্থানীয় যুবলীগ নেতা মো. সোহেল, রাজু, আজাদ ও মো. রহিম।
এর আগে ওই মামলা তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এরমধ্যে জুয়েল নামের একজন কারাগারে রয়েছেন। শাকিল ও সাইফুল নামে দুই আসামি জামিনে আছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগ নেতা রিয়াজের নেতৃত্বে তার লোকজন গত ৩০ মে রাতে সদরের চরশাহী ইউনিয়নের বসুরহাটে ফাঁকা গুলি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে তারা ওই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক দিদার হোসেন বাবলুকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
অপহরণের প্রায় ৪ ঘণ্টা পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে পার্শ্ববর্তী নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার বোবাকান্দি এলাকার একটি ইটভাটা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় বাবলুকে উদ্ধার করে। অপহরণের পর চোখ বেধে ডান পায়ের হাটুর নিচে দুটি গুলি করার অভিযোগ করেন বাবলু। এ সময় তাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তাক্ত জখম করা হয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন তিনি।
এ ঘটনায় গত ১ জুন বাবলুর বড় ভাই শহিদুল আলম লিটন বাদী হয়ে যুবলীগ নেতা রিয়াজসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ ও পাঁচজনকে অজ্ঞাত আসামি করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
কাজল কায়েস/এমবিআর/জেআইএম