গুলি করে পালানোর সময় ধরা, গণপিটুনি
বগুড়ার নন্দীগ্রাামে জামাল হোসেন (৩৩) ও পুটু মিয়া (৪৫) নামের দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় গ্রামবাসী ধাওয়া করে পিস্তলসহ আব্দুস সালাম (২৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে এবং তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে।
শুক্রবার রাত ৮টায় দিকে নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের বর্ষন চেচুয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে হত্যা মামলার আসামি আনোয়ার হোসেন শাহীনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় চেচুয়াপাড়া গ্রামের রাস্তায় অপরিচিত চার যুবক মোটরসাইকেল নিয়ে ঘোরাফেরা করছিল। এ সময় গ্রামের রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা লোকজন তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে তারা গুলি করে। এতে জামাল ও পুটু পায়ে ও হাতে গুলিবিদ্ধ হন। গুলি করে চার যুবক পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামবাসী ধাওয়া করে আব্দুস সালামকে মোটরসাইকেলসহ আটক করে। এ সময় মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া ছাড়াও তাকে গণপিটুনি দেয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ পৌঁছে আব্দুস সালামকে তাদের হেফাজতে নেয়। এরপর তার দেহ তল্লাশি করে একটি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া আটক সালাম হায়দার হত্যা মামলার বাদি গফুরের জামাই পরিচয় পেয়ে উত্তেজিত গ্রামবাসী গফুর ও তার পরিবারের বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদেরকে নিবৃত্ত করে।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির জানান, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গ্রামবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া সহিংসতা এড়াতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
২০১২ সালের হায়দার হত্যা মামলার আসামি আনোয়ার হোসেন শাহীন সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। গত বুধবার গভীর রাতে নিহত হায়দারের স্বজনেরা শাহীনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে এবং হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তার দুই পা ও এক হাত ভেঙে দেয়। পরে ভোর রাতে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ওই ঘটনার পর থেকে গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
লিমর বাসার/আরএস