হরিণের মাংস ভাগাভাগির সময় ম্যাজিস্ট্রেট হাজির
ফরিদপুরের সদরপুরে গোপনে হরিণ জবাই করে মাংস ভাগাভাগির সময় দুই ব্যক্তিকে আটক করে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পূরবী গোলদার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সদরপুর উপজেলার চরবিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মোলামের ডাঙ্গী গ্রামের হায়দার মাস্টারের বাড়িতে হরিণ জবাই করে মাংস ভাগাভাগি করার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালান সদরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পূরবী গোলদার। অভিযানকালে প্রায় ১০ কেজি হরিণের মাংস ও জবাইয়ের সামগ্রীও উদ্ধার করা হয়। এ সময় বাড়ির মালিক মো. হায়দার হোসেনকে আটক করা হয়।
পরে হায়দার হোসেনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হরিণ পাচারের সঙ্গে জড়িত ভাষাণচর ইউনিয়নের আমিরাবাদ গ্রামের কালাম মৃধার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি টের পেয়ে কালাম মৃধা কৌশলে পালিয়ে যান। পরে কালাম মৃধার স্ত্রী সোনিয়া আক্তারকে আটক করা হয়। সোনিয়া আক্তার তার স্বামী কালাম মৃধার দোষ স্বীকার করেন। পরে আটকদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আটক হায়দার হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা ও সোনিয়া আক্তারকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পূরবী গোলদার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়। আটকদের ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত মাংস সদরপুর ইউনিয়নের পূর্বশ্যাম জামিয়া ইসলামিয়া এতিমখানা ও মাদরাসায় বিতরণ করা হয়েছে।
বি কে সিকদার সজল/আরএআর/পিআর