ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে শিশু, স্যালাইন দিতেই মৃত্যু
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ডেঙ্গু জ্বরে হামজা (১২) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার মৃত্যু হয়।
হামজা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্ডা ইউনিয়নের নশিংপুর গ্রামের মো. ইসমাইল মিয়ার ছেলে।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডা. রিয়াসাদ জানান, বিকেল ৫টার আগে শিশুটিকে তার বাবা-মা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এ সময় শিশুটির শরীরে প্রচণ্ড জ্বর ছিল। প্রাথমিক পরীক্ষায় ডেঙ্গু নিয়েই শিশুটিকে হাসপাতালে আনা হয়েছে বলে প্রমাণিত হয়। পরে স্যালাইন পুশ করার কিছুক্ষণ পরই শিশুটি মারা যায়।
এদিকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমানে পাঁচজন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। তারা হলেন- জোনায়েত (৪৫), রুহুল আমীন (৪০), সবুজ (৩৫), নজরুল (৩০) ও সাবিদা বেগম (৬০)। তাদের বাড়ি ভৈরবসহ আশপাশ এলাকায়। তবে পাঁচজনই ঢাকা থেকে বাড়ি আসার পর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন বলে জানান পরিবারের সদস্যরা।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ জানান, দুই সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন হাসপাতালে ১০-১২ জন ডেঙ্গু রোগী আসছেন। সামান্য আক্রান্তদের চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পাঠানো হচ্ছে। এখনও হাসপাতালে পাঁচজন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। ডেঙ্গু এড়াতে সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
আসাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর/এমকেএইচ