ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সিরাজগঞ্জে কোরবানির জন্য প্রস্তুত দেড় লাখ পশু

জেলা প্রতিনিধি | সিরাজগঞ্জ | প্রকাশিত: ০৬:৫১ পিএম, ০১ আগস্ট ২০১৯

আসন্ন ঈদুল আজহা সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের ৯টি উপজেলায় দেশীয় পদ্ধতিতে চলছে গবাদিপশু মোটাতাজাকরণ। জেলার ৯ উপজেলায় এ বছর কোরবানির জন্য ১ লাখ ৪৪ হাজার ২৪৩টি গবাদিপশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৮ হাজার ৪০৬টি গরু, ৪৭ হাজার ৬১৭টি ছাগল এবং বাকিগুলো ভেড়া ও মহিষ। এসব পশু দেশীয় দানাদার ও প্রাকৃতিক খাবার দেয়া হচ্ছে। যদিও সাম্প্রতিক বন্যা এ কার্যক্রমে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। সবকিছু মনিটরিং করছে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ।

অনুসন্ধানে জানা যায়, শাহজাদপুর, উল্লাপড়া, সদর, বেলকুচি, চৌহালী, তাড়াশ, রায়গঞ্জসহ ৯ উপজেলায় এ বছর কোরবানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সোয়া লাখ গবাদিপশু। কিন্তু প্রতি বছরের মতো এ বছরও জেলায় অতিমাত্রায় দেশীয় গবাদিপশু মোটাতাজাকরণ চলছে। এবারও এসব দেশীয় পশু জেলার কোরবানির চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত থাকবে। খামারিরা গাভী পরিচর্যার পাশাপাশি ষাঁড়ের পরিচর্যাও করছেন। তবে গো খাদ্যের দাম বাড়ার কারণে পশু মোটাতাজা করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক খামারিদের। অবশ্য তাদের আশা- মোটাতাজাকরণে খরচ যত বেশিই হোক, কোরবানির হাটগুলোয় যদি শেষ পর্যন্ত বিদেশি পশু স্থান না পায় তাহলে তারা লাভের মুখ দেখবেন।

উল্লাপাড়া গ্যাসলাইনপাড়া গ্রামের খামারি শফিকুল ইসলাম ভোলা জানান, কোরবানির হাটগুলোয় যদি ভারত, নেপাল ও ভুটানি গরু না ওঠে তাহলে তারা লাভবান হবেন। সরকার বর্ডার খুলে দিলে দেশি গরুর মালিকদের পথে বসার উপক্রম হবে।

আরেক খামারি আশিষ জানান, তিনি পাঁচ মাস ধরে ছয়টি গরু মোটাতাজা করে যাচ্ছেন। প্রতিটি গরুর পেছনে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। খৈল, ভুসিসহ দানাদার খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু পালন কষ্টসাধ্য হলেও কোরবানির সময় এক সঙ্গে টাকাগুলো হাতে পাবেন- এমন আশায় সন্তানের মতো পশুগুলোকে লালনপালন করছেন।

jagonews

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আখতারুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, সিরাজগঞ্জ জেলায় মোট ১০ লাখ গবাদিপশু আছে। এর মধ্যে চলতি বছর কোরবানির জন্য ১ লাখ ৪৪ হাজার ২৩৩টি প্রাণিকে দেশীয় পদ্ধতিতে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। যা জেলার কোরবানির চাহিদা মেটাবে এবং অন্যান্য জেলায়ও সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

তিনি আরও জানান, এসব পশুকে দেশীয় দানাদার ও প্রাকৃতিক খাবারের মাধ্যমে প্রস্তুত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সব ধরনের রোগবালাই থেকে সুরক্ষা দিতে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতর নিয়মিত মনিটরিং করাসহ চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

আখতারুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, সরকার কোরবানির হাটের শেষ দিন পর্যন্ত দেশের সব সীমান্ত বন্ধ রাখলে দেশীয় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক খামারিরা লাভবান হবেন। অন্যথায় অনেকেই তাদের খরচসহ মূলধন হারিয়ে পথে বসবেন।

ইউসুফ দেওয়ান রাজু/আরএআর/এমকেএইচ

আরও পড়ুন