নতুন জীবন উদযাপন করছেন বিলুপ্ত ছিটমহলবাসী
ভারত সীমান্ত থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় ছিল বৃহত্তম দাশিয়ারছড়া ছিটমহল। যা এখন বিলুপ্ত। আর সেজন্যই ৩১ জুলাই রাত ১২টা ১ মিনিটে ৬৮টি মোমবাতি জ্বালিয়ে ৫ম বর্ষে পদার্পণ উদযাপন করেন বিলুপ্ত এ ছিটমহলের অধিবাসীরা।
বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কালিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন দাশিয়ারছড়াবাসী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক এমপি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আলী। অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন, সহ-সভাপতি শাহজাহান মিয়া বাদশা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী সরকার, ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির দাশিয়ারছড়া ইউনিটের সাবেক আহ্বায়ক আলতাফ হোসেন প্রমুখ।
দাশিয়ারছড়ায় ছিটমহল বিনিময়ের ৪ বছর পূর্তিতে ৬৮টি মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এ উপলক্ষে সন্ধ্যায় দাশিয়ারছড়ার প্রতিটি বাড়িতে আলোকসজ্জ্বা করা হয়।
এছাড়া আজ বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মসজিদে মিলাদ মাহফিল এবং মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।
ছিটমহল বিনিময়ের কারণে সাবেক ছিটমহলবাসীরা তাদের নাগরিকত্বসহ গত ৪ বছরে বিদ্যুৎ সংযোগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পাকা সড়ক, মসজিদ-মন্দির, ডিজিটাল সেন্টার পেয়েছেন। এছাড়া সরকারের দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণে বদলে গেছে তাদের জীবনমান।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই মধ্যরাতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মুজিব-ইন্দিরা স্থল সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন বাংলাদেশের অভ্যন্তরের ১১১টি ছিটমহল এবং ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল দু’দেশের ভূখণ্ডে যুক্ত হয়। দীর্ঘ ৬৮ বছরের বঞ্চনার পর ১৬২টি ছিটমহল একীভূত হয়ে নাগরিকত্ব লাভ করেন এবং তারা বাংলাদেশ-ভারতের নাগরিক হওয়ার সুযোগ পান।
নাজমুল হোসেন/এফএ/জেআইএম