ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে খেয়ে গুরুতর অসুস্থ যুবক
ঝালকাঠি শহরের মধ্যচাঁদকাঠি (রূপনগর) এলাকার জুবায়ের প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া জনিত রোগে ভুগছিলেন। নিকটস্থ ডায়াবেটিক হাসপাতালের সামনেই রয়েছে অনেকগুলো ফার্মেসি। সেখানকার মের্সাস ফাতিমা মেডিসিনে যান ওষুধ কিনতে। বিক্রেতার কাছে রোগের কথা বললে তিনি ওষুধ দেন।
তবে বিক্রেতা ওষুধের সেবনবিধি লিখে না দিয়ে মৌখিকভাবে সেবনের নির্দেশনা দেন। সে অনুযায়ী ওষুধ সেবন করার পরই অস্বাভাবিক প্রস্রাব শুরু হয় জুবায়েরের। একপর্যায়ে জ্ঞান হারান তিনি। পরে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেন।
ওই সময় চিকিৎসক জানান, ফার্মেসি থেকে নেয়া ওষুধগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে জটিল সমস্যা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি কিডনির কার্যক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকায় রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন জুবায়ের। তিনি যে ওষুধ দিয়েছেন তা সেবন করলেও সুস্থ হতে অনেক সময় লাগবে। পুরোপুরি সুস্থ হতে হলে বরিশালের কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে হবে।
ঝালকাঠি কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগে জুবায়ের এসব কথা উল্লেখ করেন।
এদিকে ফাতিমা মেডিসিনের ওষুধ বিক্রেতা মোহাম্মদ হাসান তার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক সনদ নেই স্বীকার করে বলেন, ‘আমি অনেক বছর যাবত ফার্মেসিতে কাজ করি। সেই ধারণা থেকে ওই ওষুধগুলো দিয়েছি।’
মেসার্স ফাতিমা মেডিসিনের মালিক রিজওয়ানুল আতিক তন্ময় বলেন, ‘আমি ঢাকায় ছিলাম কয়েকদিন ধরে। ওষুধ বিক্রি করতে গিয়ে ভুল করেছে। বিষয়টি আরও বিস্তারিত জেনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করব।’
আতিকুর রহমান/এফএ/জেআইএম