সাভারে গণপিটুনিতে নারী হত্যায় আরও ৩ জন গ্রেফতার
সাভারের তেঁতুলঝোড়া এলাকায় বাসা ভাড়া নিতে গেলে ছেলেধরা সন্দেহে সালমা বেগম (৪০) নামের এক নারীকে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এক নারীসহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হলো।
সাভার ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এমারত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতাররা হলেন- খুলনার তেরগাদা থানার আকুলিয়া গ্রামের আবদুল হাফিজ সরদারের ছেলে শুকুর সরদার (৩০) ও শরীয়তপুরের জাজিরা থানার বায়েরটাকি গ্রামের খোরশেদ হাওলাদারের ছেলে সজিব হাওলাদার (২৫) ও পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ এলাকার ফোরকান আলীর স্ত্রী কাজল (৩৫)।
এর আগে গত ২৪ জুলাই সাভারর তেঁতুলঝোড়া বাগবাড়ী হরিণধরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাব্বির হোসেন (২০) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সাভার ট্যানারি ফাঁড়ির ইনচার্জ এমারত হোসেন বলেন, সাভারের তেঁতুলঝোড়া এলাকায় বাসা ভাড়া নিতে গেলে সালমা বেগম নামে এক নারীকে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামিদের চিহ্নিত করে পর্যায়ক্রমে গ্রেফতার করা হচ্ছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থেকে কাজল নামে এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই নারীই প্রথম সামলা বেগমকে ছেলেধরা বলে গুজব ছড়িয়েছিল।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২০ জুলাই দুপুরে সাভারের হেমায়েতপুর তেঁতুলঝোড়া এলাকায় বাসা ভাড়া নিতে গেলে সালমা বেগমকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত সালমা বেগম মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার মুসলিমাবাদ গ্রামের বিল্লাল বেপারীর মেয়ে।
এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা প্রায় ৮শ জনকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
আল-মামুন/এমবিআর/এমএস