ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

‘বিসমিল্লাহ’র দাম দেড় লাখ

জেলা প্রতিনিধি | পটুয়াখালী | প্রকাশিত: ০৯:৪০ এএম, ৩০ জুলাই ২০১৯

দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করে গাজী আবু বকর সিদ্দিক আজ সফল খামারি। সদর উপজেলার টাউন কালিকাপুর স্বাধীনতা সড়ক এলাকায় ২০১৮ সালে একটি গরু দিয়ে যাত্রা শুরু করে তার বিসমিল্লাহ ডেইরি ফার্ম।

বর্তমানে আবু বকরের খামারে ৬৩টি গরু ও ৩টি ছাগল আছে। এর মধ্যে একটি গরুর ওজন সাড়ে ৭ মন, নাম বিসমিল্লাহ। গরুটির দৈর্ঘ্য ৭ ফুট, আর উচ্চতা ৫ ফুট। আসন্ন ঈদুল আজহায় দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করার আশা করছেন তিনি।

এছাড়াও তার খামারে সাড়ে ৬ মন ওজনের একটি গরু রয়েছে। তার নাম কালাই। ওই গরুটির দৈর্ঘ্যও ৭ ফুট, আর উচ্চতা ৫ ফুট। এটি তিনি ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রয় করতে চান।

গাজী আবু বকর বলেন, ২০১৬ সালে ৩ কাঠা জমি রাখি। জমি ফাঁকা থাকায় কিছু একটা করার চিন্তা করি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউব ও টেলিভিশনে দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে খামারের কাজ শুরু করি।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালে একটি গরু দিয়ে বিসমিল্লাহ ডেইরি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে তার ফার্মে ৬৩টি গরু ও ৩টি ছাগল আছে। এরমধ্যে এ বছর ঈদুল আজহার হাটে বিক্রির জন্য ৩০টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে তার ফার্মে চারজন কর্মচারী কাজ করেন।

খামারের ইনর্চাজ শাহ্ আলম বলেন, প্রতিদিন গরুর গোসল-খাওয়ানো-ওষুধ দেয়া ও খামার পরিষ্কারের কাজ করতে হয়। গরুগুরোকে কোনো রাসায়নিক খাবার নয়, প্রতিদিন গমের ভুসি, ভুট্টা, খৌল ও চিটা গুড় খাওয়ানো হয়েছে।

Potuakhali-1

আবু বকর সিদ্দিক বলেন, বর্তমানে গরুর খাবারের দাম বেশি। চিকিৎসায় ব্যয় বেড়ে গেছে। তাই ভালো দামে গরু দুটি বিক্রি করতে পারলে খুশি হবেন।

স্থানীয় আতাউর রহমান বলেন, 'এই এলাকায় আবু বকর সিদ্দিক প্রথম গরুর খামার করছে। সে এই খামার দিয়ে সফল। তার দেখা দেখি অনেকে খামার করতে ইচ্ছুক।

জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, পটুয়াখালীতে একবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে এ বছর বিভিন্ন খামারে ১৯ হাজার ৫০১টি এবং পারিবারিকভাবে মোট ১ লাখ ১ হাজার ৮০০টি গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলায় এ বছর কোরবানির পশুর আনুমানিক চাহিদা হচ্ছে ১ লাখ ২১ হাজার ২০২টি। ফলে জেলার চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত পশু দেশের অন্যত্র সরবরাহ করা যাবে।

তিনি বলেন, এই পশুগুলো খামারিরা সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে হৃষ্টপুষ্ট করেছেন। কোনো ক্ষতিকারক রাসায়নিক বা ওষুধ প্রয়োগ করা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, খামারিরা যাতে পশুর ন্যায্য মূল্য পায় সে জন্য ভারতীয় গরু আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই।

মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এমএমজেড/এমকেএইচ

আরও পড়ুন