ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় যুবকের হাত কেটে দিল লম্পট

জেলা প্রতিনিধি | কক্সবাজার | প্রকাশিত: ০২:১৫ এএম, ২৯ জুলাই ২০১৯

কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওতে পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় এক যুবকের হাত কেটে দিয়েছে এলাকার আরেক লম্পট যুবক। আহত যুবককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

রোববার (২৮জুলাই) ভোরে ঈদগাঁও ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব ভোমরিয়া ঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। আহত দিদারুল ইসলাম (২৮) পূর্ব ভোমরিয়া ঘোনা এলাকার হাজী জাফর আলমের ছেলে। ঘাতক কামাল হোসেন (২৫) একই এলাকার আমির সুলতানের ছেলে। তাকে জনতার সহযোগিতায় আটক করেছে পুলিশ।

আহত যুবকের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, আটক কামাল হোসেন জনৈক নারীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। প্রায় সময় ওই নারীর ঘরে রাতের বেলায় কামালকে দেখতো প্রতিবেশীরা। ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার তাকে ধরেছিল প্রতিবেশী দিদারুল ইসলামসহ এলাকার লোকজন। এ বিষয় নিয়ে স্থানীয়ভাবে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে বৈঠকেও বসে। সেখানে সমাজ সর্দারসহ স্থানীয় মেম্বার উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে কামাল রাতের বেলা ওই নারীর বাড়িতে আর যাবে না মর্মে অঙ্গীকারনামা দেন। এরপরও রোববার ওই বাড়িতে যায় কামাল।

southeast

এ দিন পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় রাতের বেলা আসা কামালকে চোর মনে করে তাকে তাড়াতে এগিয়ে যাবার সাথে সাথে ধারালো দা দিয়ে দিদারুলের মাথায় কোপ দেয় কামাল। হাত দিয়ে তা প্রতিহতের চেষ্টা করায় বাম হাতটি কেটে যায় বলে জানান স্থানীয়রা। এ সময় তার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে ঘাতক কামাল হোসেন পালিয়ে যায়।

দিদারকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানেও অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নেয়া হয়।

এদিকে ঘটনা জানাজানি হওয়ার ১১ ঘণ্টা পর তার নিজ বাড়ির পেছনে এক নিকট আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন করে কামাল। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়রা ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ফোন করে অবহিত করেন। পরে ওসি আসাদুজ্জামানের নির্দেশে এএসআই মহিউদ্দীন ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে কামালকে আটক করেন।

স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার আবদুল হাকিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আহত দিদারকে নিয়ে হাসপাতালে আছি। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন চিকিৎসক।

ঈদগাঁও পুুুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (ওসি-তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে ঘাতককে আটক করা হয়েছে। একমাত্র আসামি হিসেবে তাকে শনাক্ত করেছে এলাকার লোকজন। আহত যুবক চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরিবারকে মামলা করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

সায়ীদ আলমগীর/এমএসএইচ

আরও পড়ুন