ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নীলফামারী হাসপাতালে দুই ডেঙ্গু রোগী

জেলা প্রতিনিধি | নীলফামারী | প্রকাশিত: ০৭:৫৪ পিএম, ২৮ জুলাই ২০১৯

নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে পরিতোষ চন্দ্র রায় (২৮) ও আব্দুর রহিম (২৪) নামে দুই ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে পরিতোষ চন্দ্র রায় জেলা সদরের চড়াইখোলা ইউনিয়নের পশ্চিম কুচিয়ার মোড় গ্রামের ভুষণ চন্দ্র রায়ের ছেলে। অপরজন আব্দুর রহিম জেলা সদরের রামনগর ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে। তবে দুজনই ঢাকা থেকে নিজ বাড়ি ফিরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন।

জানা যায়, পরিতোষ চন্দ্র রায় নীলফামারী সরকারি কলেজ থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে মাস্টার্স পাস করে ঢাকার একটি মেসে থেকে চাকুরীর চেষ্টা করছিলেন। ঢাকায় জ্বরে আক্রান্ত হলে ২৪ জুলাই তিনি নীলফামারীর বাড়িতে চলে আসেন। দিন দিন জ্বরের পরিস্থিতি খারাপ হলে রোববার সকালে নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর রক্ত পরীক্ষায় তার ডেঙ্গু জ্বর ধরা পড়ে।
আব্দুর রহিম ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে তার বাবার সঙ্গে মুদি দোকান করেন। তিনিও ঢাকা থেকে জ্বর নিয়ে বাড়ি এসে ২৭ জুলাই রাত ৯টার দিকে নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনিও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত।

এছাড়া জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের আশিদুল ইসলাম ঢাকায় রিকশা চালাতে গিয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন। শনিবার সন্ধ্যায় তিনি কিশোরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। একইভাবে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন জেলার জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের উত্তর চেরেঙ্গা গ্রামের মাসুদ রানা (২২) এবং একই উপজেলার পশ্চিম কাঠালী গ্রামের সাখাওয়াত হোসেন (১৮)। তারা দুজনই ঢাকায় হকারি করেন। তারাও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাড়ি ফিরে এসে জলঢাকা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলে তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

সিভিল সার্জন রনজিৎ কুমার বর্মন নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে দুই ডেঙ্গু রোগী ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, তাদের চিকিৎসা চলছে। তারা দুজনই ঢাকা থেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এসেছেন। এছাড়া জলঢাকা ও কিশোরগঞ্জ উপজেলায় আরও তিনজন ঢাকা থেকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এসেছেন। তাদের সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে রংপুর মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু যাতে না ছড়ায় সে ব্যাপারে জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা মাঠে কাজ করছেন। সচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে। জ্বর হলে সরকারি হাসপাতালে আসার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে এলাকাবাসীকে।

জাহেদুল ইসলাম/এমএআর/পিআর