মেম্বারের স্ত্রীর নামে ভিজিডি ও মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় এক ইউপি সদস্যের স্ত্রীর নামে ভিজিডি ও মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড করে দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মাসকা ইউনিয়নে। রোববার বিকেলে উপজেলা মহিলাবিষয়ক অফিস সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাসকা ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য শফিকুল ইসলাম। তিনি তার স্ত্রী মোর্শেদা আক্তার নিলুফাকে একজন ভিজিডি (২০১৯-২০২০ অর্থবছর) কার্ডধারী হিসাবে তালিকাভুক্ত করান। একই অর্থবছরে ওই ইউপি সদস্যের স্ত্রী নিলুফা মাতৃত্বকালীন ভাতারও আওতাভুক্ত হন। উপজেলা মহিলাবিষয়ক অফিসের মাতৃত্বকালীন ভাতার রেজিস্ট্রি বইয়ে ৩১৩৯ নম্বর ক্রমিকে রয়েছেন মোর্শেদা আক্তার নিলুয়ার নাম। এছাড়া ভিজিডি কার্ডধারীদের তালিকাতেও একজন সুবিধাভোগী হিসেবে তার নাম রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলামের মোবাইলে বারবার কল দিয়েও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। বার বার মোবাইলের কল কেটে দিয়েছেন তিনি।
মাসকা ইউনিয়নের পরিষদের সচিব মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান বলেন, মাসকা ইউনিয়নে চলতি অর্থবছরে ১২৯ জন ভিজিডি ও ২০ জনকে মাতৃত্বকালীন ভাতার আওতায় আনা হয়েছে। তবে আমি নতুন যোগদান করেছি। তাই মোর্শেদা আক্তার নিলুফার নামে দুটি কার্ড হওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।
মাসকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলামের স্ত্রী মোর্শেদা আক্তার নিলুফার নামে ভিজিডি ও মাতৃত্বকালীন কার্ড হওয়ার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তার নামে কোনো কার্ড থাকার নিয়ম থাকলে থাকবে। আর তা না হলে দুটি কার্ডই বাতিল করা হবে।
উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আব্দুর রৌফ সরকার বলেন, কোনো অবস্থাতে এক ব্যক্তি দুটি কার্ড পাওয়ার বিধান নেই। এছাড়া একজন ইউপি সদস্যের স্ত্রী হিসেবে ওই নারী কোনো কার্ডই পাওয়ার কথা না। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে কেন্দুয়া উপজেলা ভিজিডি কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-ইমরান রুহুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কামাল হোসাইন/এএম/পিআর