চাঁদা না পেয়ে যুবলীগ কার্যালয় ভাঙচুর, চেয়ারম্যানসহ আসামি ১৭
চাঁদা না পেয়ে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়ন যুবলীগের অস্থায়ী কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগে আদালতে মামলা করা হয়েছে। এতে ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলজার মোহাম্মদসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১২ জনকে আসামি করা হয়।
রোববার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চন্দ্রগঞ্জ আমলী আদালতে ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম রিয়াজ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
বাদীর আইনজীবী লুৎফুর রহিম গাজী বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের বিচারক জুয়েল দেব এ নির্দেশ দেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- চরশাহী ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) সোলায়মান, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক দিদার হোসেন বাবলু, চরশাহী গ্রামের আনিছ মিয়ার ছেলে রবিন, রুহুল আমিনের ছেলে আবদুল ও অজ্ঞাত ১২ জন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, সম্প্রতি ইউপি চেয়ারম্যান গোলজার মোহাম্মদের নির্দেশে তার অনুসারীরা যুবলীগ নেতা রিয়াজের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দেয়ায় ২২ জুলাই মামলার আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চরশাহী ইউনিয়ন যুবলীগ অস্থায়ী কার্যালয় ভাঙচুর করে।
এ সময় ইউনিয়নের রফিক মার্কেটের ওই কার্যালয়ে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি, চেয়ার, টেবিলসহ প্রায় দুই লাখ টাকার আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় দুই লাখ টাকা তাদের না দিলে রিয়াজকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
জানতে চাইলে চরশাহী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলজার মোহাম্মদ বলেন, মামলা দায়েরের বিষয়টি শুনেছি। এটি সাজানো ঘটনা। পিবিআই সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করলে প্রকৃত রহস্য বের হয়ে আসবে।
কাজল কায়েস/এএম/জেআইএম