ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

প্রতিবন্ধী শিশু অপহৃত গুজবে দেড় ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ

জেলা প্রতিনিধি | দিনাজপুর | প্রকাশিত: ০৫:২৪ পিএম, ২৮ জুলাই ২০১৯

দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় আল-আমিন (১৪) নামে এক প্রতিবন্ধী শিশু অপহৃত হওয়ার গুজবে দেড় ঘণ্টা দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধরা।

রোববার (২৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিক্ষুব্ধরা দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।

শিশু আল-আমিন কাহারোল উপজেলার ১৩ মাইল এলাকার মুকুন্দপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে ও পূর্ব মল্লিকপুর এম. উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।

বিক্ষুব্ধরা জানায়, ওই এলাকার শারীরিক প্রতিবন্ধী আল-আমিনকে বাড়ির অদূরের মাদরাসার সামনে থেকে একটি মাইক্রোবাসে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে সদর উপজেলার রামডুবীর মোড়ের কিছু দূরে নামিয়ে দেয়। পরে প্রতিবন্ধী শিশুর বাবা আল-আমিনকে রামডুবি থেকে উদ্ধার করে বাড়িয়ে নিয়ে আসেন।

পরে কাহারোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলীর নেতৃত্বে বিক্ষুব্ধদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

শিশু আল-আমিনের বাসায় দেখা যায়, বাড়ির বাইরে বাঁশ ও রশির তৈরি একটি খাটিয়ায় তাকে শুয়ে রাখা হয়েছে। শত শত উৎসুক মানুষ তাকে ঘিরে রেখেছে। সে জানায়, তাকে একটি মাইক্রোবাসে হাত-পা বেঁধে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এ সময় তাকে মারধর করা হয়। সে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার কথা জানালে অপহরণকারীরা তাকে সদর উপজেলার রামডুবি নামক স্থানে ফাঁকা জায়গায় নামিয়ে দেয়। এ সময় সে দৌড়ে পালিয়ে একটি চায়ের দোকানে আশ্রয় নেয়। এ সময় তার হাতে-পায়ে রশি বাঁধার দাগ দেখতে চাইলে তা দেখাতে পারেনি কিংবা তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি। এছাড়া তাকে মাইক্রোবাসে উঠাতে বা নামাতেও কেউ দেখেনি। সে মাইক্রোবাসের রঙ কেমন তাও বলতে পারেনি।

কাহারোল উপজেলার ১৩ মাইল এলাকার মুকুন্দপুর গ্রামে সাংবাদিকরা যখন শিশু আল-আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল সে সময় স্থানীয় কিছু যুবক সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়। এ সময় স্থানীয়রা সাংবাদিকদের ধাওয়া করলে সাংবাদিকরা সেখান থেকে চলে আসেন।

এদিকে রামডুবির মোড়ে চায়ের দোকানদার বাবু জানায়, ছেলেটি তার কাছে চায়ের দোকানে কাজ চেয়েছিল। পরে তার বাবা এসে নিয়ে গেছেন।

কাহারোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী জানান, ছেলেটি কোনো ধরনের অপহরণের শিকার হয়নি। এটা গুজব। এ বিষয়ে ছেলেটির পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

এমদাদুল হক মিলন/এএইচ/জেআইএম

আরও পড়ুন