রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে কক্সবাজারে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে করণীয় নির্ধারণে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে এসেছে মিয়ানমারের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবস্থা সরজমিন দেখাই তাদের প্রধান লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
শনিবার সকালে বিমানের একটি ফ্লাইটে তারা কক্সবাজার বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। বিমানবন্দরে প্রতিনিধি দলকে গ্রহণ করেন কক্সবাজার ত্রাণ প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ্দৌজা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম সরওয়ার কামালসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
ক্যাম্প সূত্র জানায়, শনিবার সকাল ১০টার দিকে প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর সেখান থেকে তারা ইনানীর তারকা হোটেল রয়েল টিউলিপের উদ্দেশে রওনা হন। দুপুর ১টার দিকে তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের উদ্দেশে বের হন। সেখানে রোহিঙ্গা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবে দলটি।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর থেকে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা। এর আগে বিভিন্ন সময়ে আরও প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নিয়ে আছে। তবে ২০১৭ সালের পর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের উখিয়া-টেকনাফের ৩১টি ক্যাম্পে জড়ো করে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।
এরপর কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় তাদের প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া চালানো হয়। কিন্তু দফায় দফায় চেষ্টা করেও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি। গত বছরে প্রত্যাবাসন শুরুর কথা দিয়েও কথা রাখেনি মিয়ানমার।
এদিকে আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরুর আগে আন্তর্জাতিক সমালোচনা প্রশমন করতে চায় মিয়ানমার। সে লক্ষ্যেই বাংলাদেশে প্রতিনিধি দল পাঠালো তারা। গত বছরও মিয়ানমারের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল কক্সবাজারের শিবিরে গিয়ে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেছিল। এরপরও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় কোনো গতি আসেনি। আজকের দল সার্বিক পরিস্থিতি দেখে গেলে প্রত্যাবাসনে কী বার্তা সামনে আসে তা দেখার অপেক্ষায় বাংলাদেশ ও বিশ্ববাসী।
কক্সবাজারের শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কর্মকর্তা (আরআরআরসি) মো. আবুল কালাম বলেন, প্রতিনিধি দলটির ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে আমাদের সঙ্গে বসার কথা রয়েছে। তারা কী বলে সেটি দেখার অপেক্ষায় রয়েছি আমরা।
সায়ীদ আলমগীর/এফএ/এমএস