ছেলেধরা গুজবে নারীকে হত্যা, যুবক গ্রেফতার
সাভারের হেমায়েতপুরে ছেলেধরা গুজবে গণপিটুনি দিয়ে সালমা বেগম (৪০) নামের এক নারীকে হত্যার ঘটনায় সাব্বির হোসেন (২০) নামে যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা প্রায় ৪০০ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করা হয়।
গ্রেফতার সাব্বির হোসেন তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের হরিণধরার বাগবাড়ি এলাকার খোরশেদ আলমের ছেলে। তিনি স্থানীয় তেঁতুলঝোড়া কলেজের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
সাভার ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. এমারৎ হোসেন জানান, ছেলেধরা গুজবে ওই নারীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় সংগৃহীত ভিডিও ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করে সাব্বিরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (২০জুলাই) দুপুরে হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া এলাকায় একটি শিশুকে বিস্কুট খাওয়ানোর চেষ্টা করছিলেন এক নারী। এ সময় এলাকাবাসী ছেলেধরা গুজবে তাকে গণপিটুনি দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার চারদিন পর বুধবার (২৪জুলাই) নিহত নারীর নাম সালমা বেগম (৪০) বলে জানায় স্বজনরা। নিহত সালমা বেগম মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার মুসলিমাবাদ গ্রামের বিল্লাল বেপারীর মেয়ে। মূলত তিনি নিজের মেয়েকে দেখতে ওই এলাকায় গিয়েছিলেন। ১০-১২ বছর আগে স্বামী মিজানুর রহমান তাকে ডিভোর্স দেন। সালমা ও মিজানুরের ঘরে তিন মেয়ে আছে। দ্বিতীয় বিয়ের পর তিন মেয়ে মিতা, মনিকা ও মিসকাতকে নিজের কাছেই রেখে দেন মিজানুর। ডিভোর্সের পর থেকে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার মুসলিমাবাদ গ্রামে বাবার বাসায় থাকতো সালমা।
আরএআর/পিআর