অবৈধ সম্পর্ক দেখে ফেলায় হত্যা, তিনজনের যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ায় গৃহপরিচারিকা রেখা খাতুন হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জেলার দৌলতপুর উপজেলার শিতলীপাড়া গ্রামের মৃত লস্কার মালিথার ছেলে মোফাজ্জেল হোসেন মুফাজ ও আকরামুল হক আকেম এবং ভেড়ামারা উপজেলার মইশাডরা গ্রামের মৃত নজের আলীর ছেলে হাসেম সরদার।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার রেখা খাতুন দৌলতপুর উপজেলার শিতলীপাড়া গ্রামের মোফাজ্জেল হোসেনের বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন। মোফাজ্জেল হোসেনের মেয়ে শিরীনার সঙ্গে একই গ্রামের ছোটনের অবৈধ সম্পর্ক রেখা খাতুন দেখে ফেলেন। লোক জানাজানি হবে ভেবে শিরীনার বাবা মোফাজ্জেল হোসেন রেখাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ২০১৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মামলায় সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামির যোগসাজশে রেখা খাতুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ বাড়ির পাশের শরিষা খেতে ফেলে রাখে। ঘটনার পরের দিন নিহতের বাবা রুস্তম আলী দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কুষ্টিয়া আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী জানান, তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৫ সালের ১৯ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এই রায় দেন। রায় ঘোষণার পর আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়।
আল-মামুন সাগর/আরএআর/পিআর