বুধবার পাওয়া গেল শরীর, বৃহস্পতিবার মাথা
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা ইটভাটা সংলগ্ন পুকুর থেকে গলা কেটে হত্যা করা শিশু আবিরের মাথা উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে র্যাবের ডগ স্কোয়াডের সহযোগিতায় মাথাটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত আবির হোসাইন ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ থানার দৌলতপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে এবং চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা নূরানি হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বুধবার আবির হোসাইনের মাথাবিহীন মরদেহ পাওয়ার পর থেকেই পুলিশ এবং ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে র্যাবের ডগ স্কোয়াড দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আবিরের মাথা খুঁজতে থাকে। অবশেষে বৃহস্পতিবার সকালে কয়রাডাঙ্গা ইটভাটা সংলগ্ন পুকুর থেকে তার মাথা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামীম কবির জানান, প্রাথমিকভাবে শিশুটিকে বলাৎকার করা হয়েছে বলে মনে হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডিএনএ টেস্ট ও নিহতের শরীরের নমুনা ঢাকায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে সঠিক ঘটনা জানা যাবে।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি মুন্সী আসাদুজ্জামান জানান, শিশু আবির হোসাইনের কাটা মাথা পাওয়া গেছে। তাকে বার বার বলাৎকার করে হত্যা করা হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাদরাসার ৫ শিক্ষককে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান জানান, শিশু আবিরের মাথা উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নতদন্ত ও ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট হাতে পেলে এবং জিজ্ঞাসাবাদ সাপেক্ষে সঠিক ঘটনা জানা যাবে।
সালাউদ্দিন কাজল/এফএ/জেআইএম