চালককে বেঁধে নদীতে ফেলে ইজিবাইক ছিনতাই
কক্সবাজার সদরের পোকখালীতে হাত-পা বেঁধে চালককে নদীতে ফেলে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ করেছেন প্রাণে বেঁচে যাওয়া ওই চালক।
এর আগে গত ২১ জুলাই রাত ১১টার দিকে ইউনিয়নের মধ্যম পোকখালী সিকদার পাড়ার কাঠইল্লার কুম এলাকায় এ রোমহর্ষক ঘটনা ঘটে। ভাগ্যক্রমে পাশের বাঁশঝাড়ে আটকে প্রাণে বাঁচলেও ইজিবাইকটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
ছিনতাইয়ের শিকার ইজিবাইক চালক আনোয়ার হোসেন (২৫) কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও ইউনিয়নের উত্তর মাইজ পাড়ার আবদুল করিমের ছেলে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২১ জুলাই রাত ১০টার দিকে বাড়ি ফেরার জন্য ভাড়ার আশায় ছিলেন তিনি। এ সময় অজ্ঞাতনামা এক যাত্রী এসে পশ্চিম পোকখালী যাওয়ার কথা বলে ৩শ টাকায় ভাড়া করে। আনোয়ার তাকে নিয়ে রওনা দেন। ইজিবাইক মোক্তার মৌলভীর ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে গাড়ি থামিয়ে আগের যাত্রীর সঙ্গে আরও ৩ জন যাত্রী ওঠে। তাদের পৌঁছে দিতে উত্তর পাড়া হয়ে কাঠইল্লার কুম এলাকায় গেলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা আনোয়ারের মুখ চেপে ধরে মেরে জখম করে। পরে পরণের লুঙ্গি খুলে ছিঁড়ে আনোয়ারের হাত-পা বেঁধে ঈদগাঁও ফুলেশ্বরী নদীতে ফেলে দেয়। পরে ইজিবাইক, সেদিনের আয় করা টাকা ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়।
এদিকে তার চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে ঈদগাঁওয়ের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করে। বুধবার বিকেলে তাকে রিলিজ দেয়া হয়।
অভিযোগে আনোয়ার জানান, খোঁজ খবর নিয়ে তিনি তিন জনের পরিচয় শনাক্ত করেছেন। এরা হলেন, পোকখালী ইউনিয়নের পূর্ব পোকখালী সিকদার পাড়া এলাকার আবদুল গনির ছেলে ইমাম হোসেন, নুরুল ইসলামের ছেলে সুমন ও মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে আবদুল্লাহ। বাকি অপরজনের পরিচয় এখনও জানা সম্ভব হয়নি।
ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ এসআই মো. আবু বক্কর ছিদ্দিক জানান, ঘটনাটি রোমহর্ষক। অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্তদের আটক ও ছিনতাইকৃত টমটম উদ্ধারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
সায়ীদ আলমগীর/এফএ/জেআইএম