পঞ্চগড়ে শিশুর হাতে কোপ, ছেলেধরা আতঙ্ক
পঞ্চগড়ের হাফিজাবাদ খনিয়াপাড়া গ্রামের আফ্রিদি নামে সাত বছরের এক শিশুকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এতে ওই শিশুর বাম হাতের একটি আঙুল বিচ্ছিন্ন হওয়ার উপক্রম। পরিবারসহ স্থানীয়দের সন্দেহ, ছেলেধরা শিশুটির ওপর হামলা করে পালিয়েছে।
আহত শিশুর পরিবার সূত্র জানায়, বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় ওই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী রত্না বেগম ঘরে ছেলে আফ্রিদি (৭) ও আরাফাতকে (৩) রেখে দরজায় তালা দিয়ে পাশের ঘরে টিভি দেখছিলেন। কিছুক্ষণ পর ঘরে ছেলেদের চিৎকার শুনে তিনিও আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার শুরু করেন।
একপর্যায়ে প্রতিবেশীরা দরজা ভেঙে দেখেন শিশুটির হাত থেকে রক্ত ঝরছে। আহতাবস্থায় শিশু আফ্রিদিকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন তারা। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের লোকজন শিশুটিকে রংপুর নিয়ে যায়। এ ঘটনায় শিশুটির পরিবারসহ স্থানীয়দের মাঝে ছেলেধরা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
প্রতিবেশী মোফাজ্জল হোসেন বলেন, শিশু এবং তার মায়ের চিৎকার শুনে আমরা দরজা ভেঙে দেখি আফ্রিদির হাত থেকে রক্ত ঝরছে। একটি আঙুল প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। শিশুটি আমাদের জানায়, একটি লোক তার মুখে টর্চলাইট জ্বালিয়ে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপ দিয়ে ঘরের কোণ ভেঙে পালিয়ে গেছে। আমরা দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
আহত শিশুর বাবা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার কোনো শত্রু নেই। দুই শিশুই ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। কে আমার শিশুর ওপর অতর্কিত হামলা করে পালিয়ে গেছে আমার জানা নেই।
সদর থানা পুলিশের ওসি আবু আক্কাস আহামেদ বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে ছেলেধরার আক্রমণ বা পালিয়ে যাওয়ার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তবে কীভাবে এমন ঘটনা ঘটলো আমরা খতিয়ে দেখছি।
সফিকুল আলম/বিএ