গণপিটুনির ভয়ে আইডি কার্ড নিয়ে ঘুরছেন ভিক্ষুক
‘ছেলেধরা’ গুজব আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে। দেশের বিভিন্ন স্থানে গণপিটুনির শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন।
জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সাতক্ষীরা জেলার আটটি থানা পুলিশের ওসিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনও জনসচেতনামূলক সভা ও মতবিনিময় সভা করেছে। থানায় থানায় করা হচ্ছে মাইকিং।
আরও পড়ুন : ছেলেধরা নয়, বলাৎকারের পর শিশুর মাথা কেটে ফেলে রবিন
এদিকে, দেশের বিভিন্ন স্থানে গণপিটুনির ঘটনায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ভিক্ষুকরাও। এ অবস্থায় সাতক্ষীরা শহরে ভিক্ষুকদের জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে ঘুরতে দেখা গেছে।
সাতক্ষীরা শহরের রাজারবাগান এলাকায় বাড়িতে বাড়িতে ভিক্ষা করার সময় ভিক্ষুক মর্জিনা বেগম ও আয়েশা খাতুনের কাছে দেখা যায় জাতীয় পরিচয়পত্র।
আরও পড়ুন : ব্যাগে মিলল কাটা মাথা, ছেলেধরা সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা
এ বিষয়ে তারা বলেন, শুনেছি বিভিন্ন এলাকায় ‘ছেলেধরা’ গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করছে মানুষ। এজন্য ভোটার আইডি কার্ড সঙ্গে করে বাড়ি থেকে বের হয়েছি। যাতে এমন ঘটনার শিকার না হই।
‘ছেলেধরা’ গুজবের বিষয়ে সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ইলতুৎমিশ জাগো নিউজকে বলেন, জেলার আটটি থানায় ‘ছেলেধরা’ গুজবে কাউকে কান না দেয়ার জন্য প্রচারাভিযান অব্যাহত রয়েছে। সব থানার ওসি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার এবং চৌকিদারদের এমন গুজবের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়া স্কুল-কলেজে সচেতনতামূলক সভা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : মেয়েকে দেখতে এসে গুজবের নিষ্ঠুরতায় লাশ হলেন মা
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সময় যারা গণপিটুনির শিকার হয়েছেন তারা অধিকাংশই মানসিক ভারসম্যহীন বা নিরীহ মানুষ। ‘ছেলেধরা’ গুজব ছড়িয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আকরামুল ইসলাম/এএম/এমএস