ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

রাজশাহী কারাগারে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী

নিজস্ব প্রতিবেদক | রাজশাহী | প্রকাশিত: ০৮:৩৮ পিএম, ২৪ জুলাই ২০১৯

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরেই তাকে এখানে রাখা হয়েছে। কঠোর গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হত্যা মামলায় হুকুমের আসামি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।

ওই মামলায় বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে তোলার কথা। বুধবার এ নিয়ে আদালতের নিরাপত্তা জোরদার করা হলে সাঈদীর হাজিরার বিষয়টি জানাজানি হয়। তবে এ নিয়ে মুখ খুলছে না রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে সাঈদীকে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে তাকে রাজশাহী নেয়া হয়। তবে কি কারণে তাকে রাজশাহী নেয়া হয়েছে সে বিষয়ে কথা বলতে চাননি তিনি।

তবে কারাগারের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হত্যা মামলায় হাজিরার জন্য তাকে রাজশাহী নেয়া হয়। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করার কথা।

প্রসঙ্গত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল দখল নিয়ে ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায় ছাত্রশিবির নেতাকর্মীরা। ওই সংঘর্ষে শিবিরের ক্যাডাররা ছাত্রলীগ কর্মী ফারুককে খুন করে মরদেহ শাহ মখদুম হলের পেছনের ম্যানহোলে ফেলে দেয়। ওই রাতে ছাত্রলীগের আরও তিন কর্মীর হাত-পায়ের রগও কেটে দেয় হামলাকারীরা।

পরদিন এ নিয়ে নগরীর মতিহার থানায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৩৫ শিবির নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও অনেক শিবির নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।

পরে ওই মামলার হুকুমের আসামি করা হয় জামায়াতের শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ বেশ কয়েকজনকে। যুদ্ধাপরাধের দায়ে নিজামী ও মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।

২০১২ সালের ৩০ জুলাই নগরীর রাজপাড়া থানার তৎকালীন ওসি জিল্লুর রহমান মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতে ফারুক হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘদিনেও মামলার বিচারকাজ শেষ হয়নি।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরএআর/এমএস

আরও পড়ুন