রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গৃহবধূকে গণধর্ষণ
লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে তিন যুবককে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের চরআলী হাসান গ্রাম থেকে তাদের আটক করে স্থানীয়রা। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আটকরা হলো- ওই গ্রামের রফিকুল ইসলাম বেপারীর ছেলে বাহার, দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আল-আমিন ও আবু তাহেরের ছেলে শাকিল।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দুই বছর আগে ওই গৃহবধূর বিয়ে হয়। গত ২২ জুন সন্ধ্যায় গৃহবধূ তার বাবার বাড়ি চরআলী হাসান গ্রাম থেকে স্বামীর বাড়ি শাকচর এলাকায় যাচ্ছিলেন। লক্ষ্মীপুর-মজুচৌধুরীর হাট সড়কের সাইফিয়া দরবার শরিফ এলাকায় পৌঁছালে গৃহবধূকে রাস্তায় থেকে তুলে বাগানে নিয়ে যায় বাহার, আল-আমিন, শাকিল ও বাদশা। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়। এ সময় মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তারা। ঘটনাটি কাউকে জানালে ফেসবুকে ভিডিওগুলো ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে গৃহবধূকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এদিকে গৃহবধূর মোবাইলে কল দিয়ে আবারও দেখা করার জন্য চাপ দেয় বাদশা। দেখা না করলে ভিডিওগুলো ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। সম্প্রতি বিষয়টি গৃহবধূর শ্বশুরবাড়িতে জানাজানি হয়। ওই বাড়ির লোকজন চররমনী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) আবদুর রহমান স্বপনকে বিষয়টি জানালে স্থানীয়দের সহযোগিতায় অভিযুক্ত চারজনের মধ্যে তিনজনকে আটক করা হয়। এরই মধ্যে বাদশা পালিয়ে যায়।
চররমনী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) আবদুর রহমান স্বপন বলেন, গণধর্ষণের ঘটনাটি গৃহবধূর পরিবারের লোকজন আমাকে জানিয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকি একজনকে আটকের চেষ্টা চলছে।
কাজল কায়েস/এএম/পিআর