ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নীলফামারীতে ফের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

জেলা প্রতিনিধি | নীলফামারী | প্রকাশিত: ০৫:৩৪ পিএম, ২৪ জুলাই ২০১৯

প্রথম দফায় বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর নীলফামারীতে তিস্তা নদীর বন্যা পরিস্থিতির আবারও অবনতি হয়েছে। বুধবার বিকেল ৩টা থেকে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার (৫২ দশমিক ৯৫) ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার।

এর আগে একই পয়েন্টে তিস্তার পানি সকাল ৬টায় ও ৯টায় বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচে ছিল। যা ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে বিপৎসীমা অতিক্রম করে ২০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পায়। দুপুর ১২টায় বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও বিকেল ৩টায় আরও ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাশাপাশি উজানের ঢলে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

nilfamari03.jpg

পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, ভারি বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে তিস্তায় দ্বিতীয় দফায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এর আগে গত ১১ জুলাই তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে ও ১৩ জুলাই সেটা সর্বোচ্চ ৫০ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠে। ১৫ জুলাই পর্যন্ত সেখানে বিপৎসীমা বরাবর পানি প্রবাহিত হলেও ১২ জুলাই থেকে পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা অববাহিকার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার ৩০ হাজার মানুষ পুনরায় বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে বলে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। তারা জানান, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে পুনরায় জেলার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের নদী বেষ্টিত চরগ্রাম ও নিচু এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করেছে।

nilfamari03.jpg

দ্বিতীয় দফায় বন্যা শুরু হলে আরও ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। উজানের ঢল সামাল দিতে খুলে রাখা হয়েছে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট। ফলে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার তিস্তা অববাহিকার পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ি ও জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকার ১৫টি চর ও গ্রামের পরিবারগুলো বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এতে প্রায় ১০ হাজার পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। ]

নদীর পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার ১৫টি চর গ্রামের ১০ হাজার পরিবারের বসতবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। অনেকের বসতভিটা তলিয়ে গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রেখে সতর্ক অবস্থায় পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হচ্ছে। উজানের ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে প্রবল বেগে তিস্তায় বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। দুপুরে তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার থাকলেও বিকেল ৩টায় তা বৃদ্ধি পেয়ে ৩৫ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জাহেদুল ইসলাম/আরএআর/এমএস