কালীগঞ্জে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে খুন
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের বর্তুল গ্রামের মো. জসিম উদ্দিন (৬০) পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে প্রতিবেশীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হয়েছেন। হাসপাতালে আট দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে রোববার দুপুরে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। এ ব্যাপারে নিহতের স্ত্রী রেহেনা আক্তার বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নিহত জসিম চলতি মাসের ৬ তারিখ শনিবার সকালে বর্তুল বাজার মোড়ে তারই প্রতিবেশী জাইনুদ্দিনের ছেলে কোমলের (৪০) কাছে পাওনা দাবি করলে তিনি তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। জসিম এর প্রতিবাদ করেল কোমল তার ভাই বকুল, একই গ্রামের আতিক মিয়ার ছেলে শামীম (৪২), মৃত আতাবুদ্দিনের ছেলে কবির (৪০), পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার আগলা গ্রামের মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে ছায়ুমসহ (৩৫) অজ্ঞাক আরো ৩/৪ জনের একটি দল বাঁশের লাঠি, দা, ছেনি, চাপাতি ও লোহার রড দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে জসিমের উপর হামলা চালনি।
এসময় তাদের এলোপাথাড়ি মারধরে তিনি গুরুতর জখম হন। পরে খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তার অবস্থা অশঙ্কাজনক দেখে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। ঢামেকে নিয়ে যাওয়ার পথে জসিমের অবস্থার অবনতি দেখে তাকে উত্তরার হাই কেয়ার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে টানা আট দিন পর রোববার দুপুরে আইসিওতে তিনি মারা যান।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর-৫ কালীগঞ্জ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ জাতীয়তাবদী দল বিএনপির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি একেএম ফজলুল হক মিলনের ভাতিজা কমল প্রতিবেশী জসিমের কাছ থেকে ১৮ হাজার টাকা ধার নেন। কথা ছিল প্রতি ধানের মৌসুমে ১০ মণ করে ধান দেবেন। কিন্তু ধান না দেয়ায় জসিম পাওনা দাবি করতে গেলে কমল ও তার ভাই বকুল ও সহযোগীরা মিলে তার উপর হামলা চালান।
কালীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুস্তাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, এ বিষয়ে নিহতের স্ত্রী রেহেনা আক্তার বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
আব্দুর রহমান আরমান/এমজেড/পিআর