কার কাছে যাবে ফাহাদ?
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ফাহাদ রহিম (১০) নামে পিতৃহীন এক শিশুকে পাওয়া গেছে। বর্তমানে সে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। ফাহাদ নারায়াণগঞ্জের মৃত মঞ্জিল রহমানের ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, ফাহাদের বাবা নেই। তার মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেছে। ফাহাদ তার মামার খোঁজে গত রোববার (২১ জুলাই) মৌলভীবাজারে বড়লেখায় এসেছিল। কিন্তু সে যাকে মামা বলছে, তিনি তার আপন মামা নন। এখন সেই মামাও তাকে নিতে চাচ্ছেন না।
জানা গেছে, ফাহাদের বাড়ি নারায়াণগঞ্জ জেলায়। ছয় বছর বয়সে তার বাবা মারা যায়। বাবা মারা গেলে মা অন্যত্র বিয়ে করেন। এরপর সে একা হয়ে পড়ে। বিভিন্ন জায়গায় থেকে অনেক কষ্ট করে বড় হয় ফাহাদ। প্রায় ৭ মাস আগে সে নারায়াণগঞ্জে একটি হোটেলে কর্মচারী হিসেবে কাজে নেয়। সেখানে বাবুর্চিরা তার সঙ্গে প্রায়ই দুর্ব্যবহার করতেন। ওই হোটেলে তার সঙ্গে পরিচয় হয় আলী নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। ফাহাদ আলীকে মামা ডাকে। আলী বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের কাননগোবাজারের বাসিন্দা।
ফাহাদ রহিম জানায়, গত রোববার (২১ জুলাই) সে ঢাকা থেকে ট্রেনে কুলাউড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ভোররাতে কুলাউড়া স্টেশনে এসে নামে। সেখানে সকালে এক অটোরিকশা (সিএনজি) চালককে মামার (আলী) বাড়ির ঠিকানা বলে। অটোরিকশা চালক তাকে বড়লেখা নিয়ে আসে। কিন্তু আলীর বাড়ির ঠিকানা ঠিকমত বলতে পারেনি সে। স্থানীয় লোকজন তাকে শহরে ঘোরাফেরা করতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যায়।
বড়লেখা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরীফ উদ্দিন বলেন, আমরা তার মামার খোঁজ পেয়েছি। তার বাড়ি কুলাউড়ায় নয়, বড়লেখা তালিমপুর ইউনিয়নের কাননগোবাজারে। কিন্তু সে আলী নামে যাকে মামা বলছে, তিনি তার আপন মামা নন। আলী বলেছেন, ফাহাদ তাকে মামা ডেকেছিল। সে তার আপন ভাগনে নয়। আলী জানিয়েছেন, ফাহাদ আরও একবার এখানে এসেছিল। পরে তিনি তাকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। আলীও তাকে নিতে চাচ্ছে না।
এসআই শরীফ উদ্দিন বলেন, ফাহাদ পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। যদি তার অভিভাবকের সন্ধান না মেলে তবে তাকে সেফ কাস্টডিতে পাঠানো হবে।
রিপন দে/আরএআর/পিআর