বিনা চিকিৎসায় ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু নয় : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেরিতে চিকিৎসা নেয়ায় ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক স্বপন বলেছেন, ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসাসেবা দিন। সেবা না পেয়ে যেন কারো মৃত্যু না হয়, এটাই স্বাস্থ্য বিভাগ নিশ্চিত করতে চায়।
সোমবার বিকেলে কক্সবাজারের তারকা হোটেল সায়মান বিচ রিসোর্ট হলরুমে অনুষ্ঠিত ‘স্বাস্থ্য, পুষ্টি, জনসংখ্যা এবং লিঙ্গ সাপোর্ট’ বিষয়ক এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বন্যার কারণে এডিস মশা বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে। মশা উৎপাদন হয় এমন সব স্থানে স্প্রে করা হয়েছে, কিন্তু তা যথেষ্ট ছিল না বলে মশা বৃদ্ধি পায়। এর পরও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাবে না, এটা আমাদের বিশ্বাস।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে উখিয়া-টেকনাফের মানুষ চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে দাবি করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, স্থানীয়দের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বিশ্বব্যাংক সরকারকে দেড়শ মিলিয়ন ডলার সহযোগিতা করছে। এর ৯০ ভাগ ব্যয় করা হবে স্থানীয়দের সেবায়।
কক্সবাজার বিশ্বের অন্যতম পর্যটন শহর উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ করতে প্রতি বছর কয়েক লাখ পর্যটক কক্সবাজারে আসেন। এ খাত থেকে সরকার প্রচুর রাজস্ব আয় করে। পর্যটকদের স্বাস্থ্য বিষয়ও আমাদের নজরে রাখতে হবে। স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকলে পর্যটকরা কক্সবাজারে আসবে না।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা আসার পরে এইচআইভি যেভাবে মাথাচাড়া দিয়েছে তা প্রতিরোধে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যাদের শরীরে এইচআইভি ধরা পড়েছে তাদের চিকিৎসার আওতায় আনা হয়েছে। এটা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ার কোনো আশঙ্কা নেই। কারণ রোহিঙ্গারা একটি জায়গায় সীমাবদ্ধ।
আন্তর্জাতিক যেসব এনজিও রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করেছে সেখানে স্থানীয়দের সেবা নিশ্চিত করারও নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
মাতৃমৃত্যু কমাতে প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে ডেলিভারি সেন্টার চালু করা হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এটি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। সেবা নিশ্চিত করতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের জন্য গাড়ি ক্রয় করা হবে। পাশাপাশি চালু করা হবে মেন্টাল হেল্প কেয়ার। মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য নির্মাণ করা হবে ডরমেটরি।
অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি সিনিয়র হেলথ স্পেশালিস্ট (এইচএনপি গ্লোবাল প্রেকটিস) ডা. বুশরা বিনতে আলম, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-প্রধান (পরিকল্পনা) ডা. মহিউদ্দিন ওসমানি, চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার, কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন আব্দুল মতিন এবং জেলা পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের ডা. পিন্টু কান্তি ও জেলা বিএমএ সাধারণ সম্পাদক ডা. মাহবুবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সায়ীদ আলমগীর/এমবিআর/জেআইএম